মেহেদী হাসান, খুলনা : খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দারের সঙ্গে খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেএমপি’র সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত এম এম শাকিলুজ্জামান, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু। এছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পুলিশ কমিশনার কাছে উপস্থিত সাংবাদিকরা খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে সেগুলো থেকে উত্তরণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নবনিযুক্ত কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোন সদস্য অনুপস্থিত নেই। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সব পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। কেএমপিতে যে কোন মানুষ, আর্থিকভাবে নিম্নস্তরে আছে বা ফকির যে সেবা পাবে একজন শ্যূট পরিহিত ব্যক্তিও একই সেবা পাবে। আমার অফিস যেমন উন্মুক্ত থাকবে, ঠিক সব থানাগুলোতে একই পরিবেশ যেন ফিরে আসে সেই ব্যবস্থা থাকবে। যে কোন সেবা পেতে হয়রানি হবে, পরে আসেন ব্যস্ত আছি এধরনের কথা চলবে না। কোন মানুষ বৈষম্যের শিকার হবে এরকম হবে না। আমি চাই বৈষম্যমুক্ত একটা পরিবেশ থানাগুলোতে থাকুক, আমার অফিসে থাকুক।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথ তদন্ত হবে। আমার এখানে কোন বদলি বাণিজ্য হবে না। নগরীর যানজট নিরসনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। উৎসবমূখর পরিবেশে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে পারে সেই ব্যবস্থা করবো। কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়া সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজীসহ সকল ধরনের অপরাধ দমনে কাজ চলবে।
পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দারের বলেন, পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে জোর প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ, আমরা একসাথে কাজ করব এবং আমরা কাজের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করব যে আমরা জনতার পুলিশ।