লন্ডন: ইহুদিদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল জুইশ এন্টি-জায়োনিষ্ট নেটওয়ার্ক (আইজিএন) গাজায় ইসরাইলী গণহত্যার তীব্র নিন্দা করে এই গণহত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়া বিশ্ব ইহুদী সম্প্রাদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারী, শুক্রবার লন্ডনে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের বাইরে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই আহ্বান জানানো হয়। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলার বিরুদ্ধে আয়োজিত এই বিক্ষোভে ইহুদী সম্প্রাদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
আইজেএএন এর বিক্ষোভ সমাবেশে বিবেকবান মানবিক সব ইহুদিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, “ফিলিস্তিন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান” এর নেতানিয়াহুর লক্ষ্যের বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে দাঁড়াতে হবে। সমাবেশের বক্তারা বলেন, বোমাবর্ষণ করে বাড়িঘর, হাসপাতাল ও জীবন রক্ষাকারী অবকাঠামো ধ্বংস করে ইসরায়েলের গাজা অবরোধ নারকীয় গণহত্যা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বুদাপেস্ট ঘেটো থেকে বেঁচে যাওয়া ডাঃ মারিকা শেরউড বলেন, ‘যারা সব ইহুদিদের নামে কথা বলার দাবি করে, আমি সেই ইসরায়েলি সরকারকে বলতে চাই, তারা আমার নামে কথা বলছে না। ফিলিস্তিনিদের ধ্বংসের চেষ্টার মুখে আমি চুপ করে থাকব না।’
‘বেঙ্গলিস ফর প্যালেস্টাইন’ এর সভাপতি নুরউদ্দিন আহমেদ এবং সম্পাদক আনসার আহমেদ উল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংহতি প্রদর্শনে অংশ নেন। নুরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই অবিচার বন্ধ করতে হবে। যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত আমরা প্রতিবাদ চালিয়ে যাব, তবে শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের জনগণকে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির জন্য মুক্ত হতে হবে।‘ তিনি বলেন, ‘গাজার উপর এই সর্বশেষ হামলাটি গত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনের সহিংস উপনিবেশ এবং এর চলমান বর্ণবাদী নীতি, সামরিক দখল ও অবরোধ, জাতিগত নির্মূল, ঘেটোাইজেশন এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।‘
বিক্ষোভে গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এই গণহত্যার বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ এর প্রতি ইসরাইলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা অভিযোগ করে বলছেন, বিশ্বের এই শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো অস্ত্র, প্রোপাগান্ডা এবং সেন্সরশিপ দিয়ে ইসরায়েলের গণহত্যা পরিকল্পনাকে সমর্থন করছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :