স্টাফ রিপোর্টারঃ খুলনায় মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে অতর্কিত হামলায় আলী আকবর (৫০) নামের ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় খুলনা সদর থানায় আহত আলী আকবরের জামাই মোঃ তানভীরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ০৫ ডিসেম্বর আলী আকবর (৫০) এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল করে গ্রামের বাড়ীর ঠিকানার পরিচিত দিয়ে খুলনা সদর থানাধীন ফেরীঘাট মোড়স্থ কবিরের চায়ের দোকানের সামনে আসতে বলে। সেখানে পৌছালে আসামী খান সাইফুলসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন মোটরসাইকেল যোগে লোহার রড, এস এস পাইপ দিয়ে বাম পায়ের হাটুতে আঘাত করলে হাড় ভেঙ্গে যায় এবং এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মেরে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়।
আহত আলী আকবর বলেন, আসামিদের সাথে আমার পূর্ব কোন শত্রুতা নেই। তাদেরকে আমি চিনিও না। আমাকে মুঠোফোনে কল করে ডেকে নিয়ে অতর্কিতভাবে এই হামলা করে। হামলাকারীরা আহত অবস্থায় আমাকে ইজিবাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। আমি অচেতন হয়ে পড়লে আমাকে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসাক জানায় আমার বাম পায়ের হাটু ভেঙ্গে গেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
লিখিত অভিযোগের বাদী ও আহত আলী আকবরের জামাই মোঃ তানভীরুল ইসলাম বলেন, আমার শ্বশুর আলী আকবর খুলনা জেলা পুলিশ লাইন্স এর এসআই(নিঃ) সাময়িক বরখাস্ত থাকায় আমার ব্যবসায় সহযোগিতা করে। তিনি খুলনার বিভিন্ন থানায় এবং খুলনা জেলায় দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সুনামের সহিত চাকুরি করেছেন এবং এলাকায় অপরাধ দমন, অপরাধী/সন্ত্রাসীদের সাথে আপোষহীনী ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকায় বিভিন্ন অপরাধী/সন্ত্রসীরা তাকে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ০৫ ডিসেম্বর রাতে আমার শ্বশুরের উপর অতর্কিত এই হামলা বলে আমরা ধারণা করছি। বিষয়টি খুলনা সদর থানায় এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তিনি।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।