সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় শাপলাপাতা মাছ জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল এর নির্দেশক্রমে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী ও রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এর নের্তৃত্বে বন বিভাগের নাইম হোসেন খান ও এনিমলস লাভার অফ পটুয়াখালী এর সদস্য সোহেল হোসেন রাসেল এর সহযোগিতায় রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বাজার থেকে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ উদ্ধার করা হয়। পরে মাছটিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল এর উপস্থিতিতে মাটিতে পুতে ফেলা হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উলানিয়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। উলানিয়া মাছ বাজার থেকে মাছটি উদ্ধার করা হয়। মাছটির ওজন ১০ কেজি। পরে মাছটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, শাপলাপাতা মাছ ধরা এবং বিক্রি বেআইনি। যে সকল অসাধু জেলেরা এসব মাছ ধরে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
গলাচিপায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি নিষিদ্ধে মানববন্ধন
পটুয়াখালীর গলাচিপায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি (ফাটানো) নিষিদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় উপজেলা প্রশাসন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। আরও উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী, গলাচিপা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্মা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আকরামুজ্জামান, গলাচিপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয়, গলাচিপার সিনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শিশু ছবি ঘরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মু. খালিদ হোসেন মিল্টন, শিশু সুরক্ষা সমাজসেবা কর্মী পঙ্কজ গাঙ্গুলী, এনিমালস লাভার অফ পটুয়াখালী এর সদস্য সোহেল হোসেন রাসেল প্রমুখ। এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আতশবাজিতে প্রাণীরা চমকে ওঠে, পশু পাখি, বৃদ্ধ ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়। আতশবাজি বা পটকাবাজি মূলত তিন ধরণের ক্ষতি করে। এগুলো ফুটানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দ হয়, যা আমাদের চারিদিকে শব্দ দূষণ ঘটায়। এই শব্দ শিশু, বৃদ্ধসহ অসুস্থ রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়া এতে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। এর কারণে প্রতিবছর হাজারো পাখি ও বন্যপ্রাণী অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করে। তাছাড়া এ থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক বায়ু দূষণ ঘটায়, যা ফুসফুসের নানা রোগের কারণ। এ সময় তারা আরও বলেন, এছাড়াও পটকা ও আতশ কাগজ, ছোট ছোট পাথরের টুকরা ও বিস্ফোরকে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয় যা বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে কঠিন বর্জ্যে পরিণত হয়, পরিবেশ দূষণ তৈরি করে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কাজেই আসন্ন থার্টি ফার্স্ট নাইট কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এই পটকা বা আতশবাজির ফুটানো থেকে বিরত থাকা উচিত। এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কাজেই প্রাণী, শিশু ও বৃদ্ধদের কথা চিন্তা করে আসন্ন ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’-এ (৩১ ডিসেম্বর) আতশবাজি ফুটানো ও ফার্নুস উড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে প্রাণীদের নিয়ে কাজ করা বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।