নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ মাটি ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে ঢাকার ধামরাইয়ে আবুল কাশেম (৫৭) নামে এক বিএনপি নেতাকে বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। আবুল কাশেম জালসা এলাকার মৃত রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। তার অভিযোগ, হত্যার পেছনে বিএনপির একটি পক্ষের সম্পৃক্ততা রয়েছে।পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে মানিকগঞ্জে একটি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন আবুল কাশেম। বাড়ি থেকে বের হতে স্থানীয় বিএনপির ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেন। চাপাতি ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভারে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাবার সঙ্গে অনেকদিন ধরে মাটি ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। গত কয়েক মাসে অনেকবার হুমকি দিয়েছে। আজ ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদের লোক উপজেলা কৃষক দলের সহসভাপতি জলিল, আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি আবু সাইদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা বাছেদসহ কয়েকজন বাবাকে মারার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে বাসার সামনে অপেক্ষা করছিলেন। সকালে এক আত্মীয়কে দেখার জন্য বের হলে কুপিয়ে আহত করেন তারা। এর আগে একবার বাবাকে মারধর করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আবু সাইদ।আবুল কাশেমের স্ত্রী শাহেদা আক্তার বলেন, ‘বাসা থেকে ঘটনাস্থল বেশি দূরে নয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা হামলা করেছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হামলাকারী কয়েকজনের নাম বলেন। তার মধ্যে জলিল, বাছেদ, বিল্টু, আলী, আহাদ, গফুর ও মালেক। এদের অনেকে বিএনপি নেতা। কয়েকজন আওয়ামী লীগেরও ছিল। মূলত মাটি ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা।এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেরাজুন রেহান পাভেল বলেন, ‘আবুল কাশেমের ডান পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে।এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি আমরা। আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। এ ছাড়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ধামরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
