মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধিঃ কুয়াশায় মোড়ানো রাত, শিশির ভেজা সকাল ও হালকা ঠাণ্ডার কারণে খুলনায় শীতের কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বেচাকেনা জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। নতুন কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় পুরনো কাপড়ের দোকানের দিকে ক্রেতারা ঝুঁকে পড়ছেন।
ফুটপাত বা উন্মুক্ত ভ্যানে রাখা শীত পোশাকের দোকানগুলোতে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে প্রায় মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন। ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে হরেক রকম বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফুটপাতের দোকানিরা।
এখানের দোকানগুলোতে পুরনো সব রকমের পোশাকের কদর বেশি। পুরনো এসব পোশাক যথেষ্ট সস্তা এবং বেশ শীত নিবারণদায়ক বলে মনে করেন সাধারণ ক্রেতারা।
আবার অনেক ফুটপাতের দোকানি নতুন পোশাকও বিক্রি করছেন।
এসব দোকানে সোয়েটার, জ্যাকেট, কানটুপি, মাফলার, হাত-পায়ের মোজা ইত্যাদি পোশাকে সয়লাব হয়ে গেছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্রের পাশাপাশি কম্বলও বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের হাঁক-ডাক আর ক্রেতাদের ভিড়ে জম্পেশ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ফুটপাতে শীতবস্ত্রের মেলা বসলেও দামে আগুন। আগের চেয়ে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে শীতের কাপড়।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নগরীর জব্বার মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, জেলা স্টেডিয়ামের পাশের পুরনো কাপড়ের মার্কেট, ফেরিঘাট, ডাকবাংলা, শিব্বাড়ি, দৌলতপুর, খালিশপুর, বয়রা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাত, মার্কেট ও শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
নগরীর জেলা স্টেডিয়ামের পাশে শীতের পোশাক কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী রুমানা আক্তার রানু। তিনি বলেন, প্রায় এক ঘণ্টার মতো দোকানগুলোতে কাপড় খুঁজলাম। পছন্দ হয় তো দামে মেলে না, দামে মিললে পছন্দ হয় না। মাত্রাতিরিক্ত দাম, তাই না নিয়েই ফিরে হচ্ছে।
পোশাক ক্রেতা ইরফান হাসান নূর বলেন, এ পোশাক এখন শুধু গরিবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।শীত নিবারণের প্রয়োজনে সব ধরনের মানুষই কেনাকাটা করছেন। তবে গরিবদের শীত নিবারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে এসব পুরাতন পোশাকের দোকানগুলো।
নিক্সন মার্কেটে জাহিদুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, এ দোকান থেকে ওই দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দমতো পোশাক কিনতে পারছি না। পছন্দ হলেও দামে মিলছে না। সবকিছুর দাম বেড়েছে, কাকে কি বলব?
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। দোকানগুলোতে শিশু বয়স্কদের কাপড় বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাথার টুপি, পায়ের মোজা, হাত মোজা, মাফলার, সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে বেশি। কাপড়ের মান ও আকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
পোশাকের দাম বাড়ায় বিষয়টি স্বীকার করেছেন ফুটপাতের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, কয়েক দিনের ঠান্ডার জেরে পোশাকের দাম বেড়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাই বেশি। অসহায় শীতার্ত মানুষও কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয় করছেন।