গ্রাম বাংলা ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টার কাছে অসহায় পরিবারের খোলা চিঠি

post

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী)  বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলি ইউনিয়নের আমলকিতলা গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অসহায় দরিদ্র পরিবার জগদীশ বেপারী (৭০) এর একমাত্র ছেলে মিল্টন বেপারী এসআই পদে বরিশাল বিভাগে ১ম দিনের বাছাই পরীক্ষায় উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি ওজন ৬১ কেজি বুকের মাপ ৩৪-৩৬ ইঞ্চিতে কৃতকার্য হয়। ২য় দিনে দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ এবং ৩য় দিনে পুশ আপ, সিট আপ, দড়ি বেয়ে উপরে ওঠা (মাঠ পর্যায়ে) সকল বিষয়ে কৃতকার্য হন। তার পেট আইডি নং ২৭৫৩৩। তার রোল নং ১০৬১২৪। ২২ নভেম্বরের লিখিত ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন। কিন্তু মিল্টন বেপারী (২৬) এর দরিদ্র বাবা জগদীশ বেপারীর চিন্তা তার মত গরিব ঘরের ছেলে চাকরী পাবে তো। তাই তিনি একমাত্র ছেলের এসআই পদে চাকরীর আশায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে খোলা চিঠি দিয়েছেন। যার সার সংক্ষেপ তুলে ধরা হলো।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আপনার কাছে এ চিঠিতে জানাচ্ছি, আমরা দরিদ্র পরিবার অসহায় হয়ে চরম ব্যথিত হৃদয়ে এ চিঠি লিখতে বসেছি, কারণ আজকের এ অসহায়ত্বের দিনে আপনিই পারেন আমাদের সম্বল হয়ে দাঁড়াতে। পান বিক্রি করে কোন মতে আমাদের সংসার চলে। আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে দুটোকে কোনমতে বিবাহ দিয়েছে। আমার একমাত্র ছেলেকে বরগুনা সরকারি কলেজে অনার্স পাঠ শেষ হয়েছে। অনার্স ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে আপনার ও আপনার গ্রামীন ব্যাংকের অবদান অনস্বীকার্য। আমি দীর্ঘ অনেক বছর ধরে আপনার গ্রামীন ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে অনেক লাভবান হয়েছি এবং ছেলেকে এই পর্যন্ত পড়ালেখা করাতে পেরেছি। এখন আমার ছেলে এসআই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। এখন আপনি একটু সদয় হলে আমার অসহায় ছেলেটা চাকরী পেয়ে আমার সংসারের হাল ধরতে পারবে। তাই আপনার কাছে খোলা চিঠি দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিল্টন বেপারী বলেন, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমি এসআই এর লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে এবং এর আগে মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার বাবা অতি দরিদ্র মানুষ। আমি আমার বাবার কষ্ট এবং গ্রামীন ব্যাংকের সহযোগিতায় এতদূর আসতে পেরেছি। তাই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার চাওয়া তিনি যদি আমাকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেন তাহলে আমার বাবাকে আর কষ্ট করতে হবে না এবং দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিব। এ বিষয়ে লতাকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান বলেন, মিল্টন অনেক ভাল ছেলে। ছোট বেলা থেকেই পড়লেখার প্রতি ওর গভীর মনযোগ। ও আমাদের এলাকার গর্ব। অসহায় পরিবার হিসেবে ওর একটা সরকারি চাকরী খুবই জরুরী।


আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner