গ্রাম বাংলা ১১ জুন ২০২৪

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিপার স্বপ্ন ১৭ মণ ওজনের ষাঁড়

post

নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন

টাঙ্গাইল:  খামারের গাভী থেকে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে আড়াই বছর আগে জন্ম দেয়া বিশালদেহী বাছুরের নাম 'স্বপ্ন' রেখেছিলেন নিপা আকতার (২৫)। এরপর অনেক বড় স্বপ্ন নিয়েই এই ষাঁড় বাছুরটি লালন পালন করেছেন তিনি।টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পৌর শহরের চন্দ্রবাড়ী এল¬াকার মালেয়শিয়া প্রবাসী আবুল কাশেমের কন্যা নিপা আকতার (২৫) নিজ খামারে দুটো ষাড় পরম মমতায় লালন পালন করছেন। একটি শাহিওয়াল জাতের এক বছর বয়সী 'নবাব' এবং অপরটি ২ দাঁত বয়সী ফ্রিজিয়ান জাতের 'স্বপ্ন'। এবারের কোরবানী ঈদে ১৭ মণ ওজনের ষাঁড় স্বপ্ন’কে বিক্রি করেতে চান তিনি।নিপা জানান, বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় অনেক কষ্টে খড়, কাঁচা ঘাস, ভুষি, খুদের ভাত এবং ফলমূল খাইয়ে ষাড়টি বড় করেছেন তিনি। প্রতিদিন এটির পিছনে ব্যয় করেছেন ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। দিনে তিন চার বার গোসল করানো হয়। মা-মেয়ে মিলে এটির যত্মে  কোন ত্রুটি রাখেননি। তাদের এই গরুটিকে দেখতে এখন প্রতিদিন ভীড় জমায় এলাকাবাসী। দাম হাঁকা হচ্ছে ৬ লাখ টাকা। তবে আলোচনা সাপেক্ষে বাজার মূল্য অনুযায়ী ষাড়টি বিক্রি করতে চান নিপা।গরুটি বিক্রির কথা ভাবলেই চোখে কষ্টের জল চলে আসে নিপার। তারপরও বিক্রি করতে হবে ষাঁড়টি। স্থানীয় যুবক উবায়দুল¬াহ বলেন, আমার জানা মতে এটা গোপালপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর একটা। কাকা প্রবাসে থাকায় খৈল, ভুষি, খুদসহ যা কিছু দরকার সব আমি এনে দিতাম। প্রানি সম্পদ বিভাগ থেকে লোকজন এসেছিল, ফিতায় মেপে এটার ওজন ১৭ মণ পর্যন্ত ধার্য্য করেছেন তারা।এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরিফ আব্দুল বাসেত বলেন, কোরবানী উপলক্ষে গোপালপুরে সাড়ে ৬ হাজার গরু এবং ৮ হাজার ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদার তুলনায় ৪ গুন বেশি। চন্দ্রবাড়ি এলাকার খামারি নিপার ওই ষাঁড়টির বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত খোঁজখবর রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হয়েছে। ষাঁড়টি স্টেরয়েড হরমোন বহির্ভূত প্রাকৃতিক খাদ্যের দ্বারা লালন পালন করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।


আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner