গ্রাম বাংলা ২৭ এপ্রিল ২০২৪

গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে

পটুয়াখালী গলাচিপার আরো খবর

post

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নে সূতাবাড়িয়া গ্রামে রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টায় পঞ্চবটি আশ্রমে ৭দিন ব্যাপি মহানাম যজ্ঞ শুরু হয়। মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মু. সাহীন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ, গলাচিপা কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি কমিটির সভাপতি দিলীপ বণিক, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত, চিকনিকান্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অবণি রায়, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও মন্দির কমিটির উপদেষ্টা বাবু শ্যামল দাস প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন পঞ্চবটি মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু আইচ। এ সময় প্রাধান অতিথি মু. সাহীন বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সবার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের নিশ্চয়তা প্রদান করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিবেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন করেছেন। পরে মন্দিরের খাবার ঘর সহ বিভিন্ন জায়গা তিনি পরিদর্শন করেন।

 গলাচিপায় পৈতৃক সম্পত্তি দখল, নিস্ব পরিবার

পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রভাবশালী একটি পক্ষ পৈতৃক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করায় নিস্ব হয়ে পড়েছে ভূক্তভোগী একটি নিরীহ পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন চরখালীর শ্রীনাথ বাজারে। ভূক্তভোগী পরিবার হচ্ছেন শ্রীনাথ বাজারের মৃত. মনিন্দ্র মিত্রের ছেলে নিরঞ্জন মিত্র (৮৩) এর পরিবার। এ বিষয়ে অসহায় নিরঞ্জন মিত্র জানান, আমার ঠাকুর দাদার বাবার নাম কৃষ্ণরাম দাস (আমার তালই) প্রায় ১৮ একর সম্পত্তি রেখে মারা যান। তার ওয়ারিশ হিসেবে এক ছেলে (আমার ঠাকুর দাদা) উক্ত সম্পত্তির মালিক ছিলেন মহিম মিত্র। তার ওয়ারিশ ছিলেন আমার বাবা মনিন্দ্র মিত্র। আমার বাবা একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে উক্ত সম্পত্তি মালিক আমি। আমি ধর্ম সাধনায় দীর্ঘ বছর বাড়িতে না থাকার সুযোগে এলাকার প্রভাবশালীরা আমার সম্পত্তি ভাগ বণ্টন করে জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। আমি বাড়ি এসে দেখি আমার সম্পত্তির মধ্যে প্রভাবশালীরা বসবাস করছে। তারা আমার জায়গায় আমাকে যেতে দেয় না। তারা আমার জাগয়ার মধ্যে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট করে আমার জমির ভূয়া মালিক সেজেছেন। আমি আমার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত। আমি আমার পরিবার নিয়ে আমার জমিতে ফিরে আসলেও প্রভাবশালীদের কারণে এখন আমি পথের ফকির। আমি এখন নিস্ব অবস্থায় আছি। অথচ আমার বাব-দাদাদের জমির কোন শেষ নাই কিন্তু আজ আমি পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছি। মাথা গোঁজার মত ঠাঁই পেতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় তিনি আরো জানান, বোয়ালিয়া মৌজার ১২১নং জেএল এর ৪১৭ নং খতিয়ানের ৭টি দাগে ৪ একর ৮৬ শতক, ৪১৪ নং খতিয়ানের ৪টি দাগে ৩ একর ৯৯ শতক, ৪১৯ নং খতিয়ানের ২টি দাগে ৩ একর ৩৩ শতক, ৪১৫ নং খতিয়ানের ৩টি দাগে ১ একর ৬৬ শতক, ৪১৬ নং খতিয়ানের ৫টি দাগে ১ একর ৮৯ শতক এবং ৪১৮ নং খতিয়ানের ১টি দাগে ৩৫ শতক জমির মালিক আমরা। সমস্ত জমি প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে। আমি অসহায় নিঃস্ব মানুষ। আমার জমি আমি ফেরত পেতে চাই। আমি প্রশাসন থেকে শুরু করে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা আমাকে আমার জমি ফিরিয়ে দেয়ার সদয় ব্যবস্থা করেন। নতুবা আমার পরিবার সহ আমার মারা যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ নাই। এ ব্যাপারে শ্রীনাথ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও এমাদুল জানান, নিরঞ্জন মিত্র গরিব মানুষ। তার বাব-দাদার এত সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আজ সে পথের ভিখারী। প্রভাবশালীরা তার জায়গা নামে বেনামে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। আমরা চাই প্রকৃত মালিক হিসেবে নিরঞ্জন মিত্র ও তার পরিবার যেন এই জমি ভোগ দখল করে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিরঞ্জন মিত্র একজন অসহায় নিঃস্ব মানুষ। শ্রীনাথ বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান করে এখন সংসার চালাচ্ছে। তার বাব-দাদার অনেক সম্পত্তি থাকলেও সেখানে তিনি যেতে পারছেন না। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু জানান, আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত আবেদন পেলে আমরা সালিশের উদ্যোগ নিতে পারি। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান বলেন, জায়গা-জমির বিষয়গুলো আদালত বোঝেন। আদালতের নির্দেশনা পেলে আইনগত উদ্যোগ নেওয়া হবে। 


আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner