গ্রাম বাংলা ২৫ এপ্রিল ২০২৪

গলাচিপা : ৩’শ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার, আহত ৩ পুলিশ সদস্য

পটুয়াখালী গলাচিপার আরো খবর

post

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় মাদক অভিযান চালাতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর সুইচ গিয়ারের আঘাতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হলেও মাদক ব্যবসায়ী আটক করতে ভুল করেননি পুলিশ সদস্যরা। জানা যায়, মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নে অভিযান চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন ডিবি পুলিশের ৩ সদস্য। আহতরা হলেন-পটুয়াখালী গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত এএসআই সাইদুর রহমান, কনস্টেবল তানভীর ও মাহফুজ। যদিও ওই অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মো. রনি হাওলাদার (৩০) কে আটক করেছেন ডিবি। এর আগে ডিবির একটি অভিযানে রনিকে আটক করা হলেও তিনি পুলিশের হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে আসছিল রনি নামের ওই যুবক। পরিচয় গোপন করে ডাকুয়া ইউনিয়নের স্থানীয় কিছু লোক ডিবির কাছে এমন অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে ডিবির এসআই সম্বিত রায়ের নেতৃত্বে উল্লেখিত ইউনিয়নে অভিযান চালান তারা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বড় চত্রা এলাকার মো. হাবিবুর রহমানের বাড়ীর সামনে রনিকে আটক করে দেহ তল্লাশি চালালে তার শরীর থেকে ৩০০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার হয়। আটকের পর রনির সঙ্গে থাকা হাতলযুক্ত সুইচ গিয়ার চাকু নিয়ে দায়িত্বরত পুলিশকে এলোপাতারি আঘাত করে পালাবার উদ্দেশ্যে দৌড়ঝাপের এক পর্যায় একটি পরিত্যক্ত জলাশয়ে ঝাপ দেন। ডিবির সদস্যরাও এ সময় ওই জলাশয়ে ঝাপ দিয়ে রনিকে আটক করেন। রনি এ সময় পুলিশের হাত থেকে পালাতে ধস্তাধস্তিও করেন। এর পূর্বে ডিবির সদস্যরা মাদকসহ রনিকে আটক করেছিলেন। কিন্তু রনি কৌশলে পুলিশের হাত কড়া নিয়ে পালিয়ে যান বলে জানান পুলিশের একটি সূত্র। রনি ওই এলাকার রেজাউল হাওলাদার ওরফে মাসুদের ছেলে। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসান।


গলাচিপায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন

পটুয়াখালীর গলাচিপায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় পারুল আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে তার স্বামী ইসমাইল খলিফা ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করেছে বলে নির্যাতিতা গৃহবধূ পারুল আক্তার জানান। এ বিষয়ে গৃহবধূর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ৩ সন্তানের জননী। আমাকে প্রায়ই আমার স্বামী যৌতুকের জন্য মারধর করে। গত সোমবার যৌতুকের টাকার জন্য আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করেছে। আমি যেন বাহিরে কারো কাছে এ কথা না বলতে পারি সেজন্য আমাকে বাসায় আটকে রাখত। নির্যাতন সইতে না পেরে আমি ১০৯৮ নম্বরে ফোন করলে আমাকে গলাচিপা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা পঙ্কজ গাঙ্গুলী গিয়ে উদ্ধার করে গলাচিপা হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছি। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সুস্মিতা বলেন, পারুল আক্তারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সে আমার চিকিৎসাধীনে ৩য় তলায় মহিলা ওয়ার্ডের ৫ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। তার শারীরিক অবস্থা তেমন ভাল নয়। এ বিষয়ে পারুল আক্তারের স্বামী ইসমাইল খলিফা (৪৫) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের পারিবারিক। তেমন কিছু হয় নি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য উজ্জল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান বিশ^জিৎ রায় বলেন, দু’পক্ষকে ডেকে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে পারুল আক্তার গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।


আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner