সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে নৌকা মার্কার প্রার্থী এস.এম শাহজাদা গলাচিপা পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সাহা বাড়িতে গেলে সেখানে এস.এম শাহজাদাকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে এবং শংখ ও উলুর ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানায়। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৮ টায় সাহা বাড়ি মন্দির প্রাঙ্গণে গেলে সেখানে তাকে সনাতন ধর্মাবলম্বী সাধারণ মানুষ বরণ করে নেয় এবং আগামী ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে এস.এম শাহজাদার নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় এস.এম শাহজাদা সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বার্তা আপনাদের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য আজ এখানে এসেছি। দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়নের তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। অতীতের কোন সরকার দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়ন করেনি। পর্যটন নগরী কুয়াকাটা, পায়রা বন্দর, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, লেবুখালী ব্রিজ, শেখ হাসিনা সেনানিবাস, বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়, সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন, শেরেবাংলা নৌ ঘাঁটি, মৎস্য অবতরণ, ব্রিজ, রাস্তাঘাট কেন্দ্রসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এসব উন্নয়নের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, গত পাঁচ বছরে দলমত নির্বিশেষে আমি আপনাদের সেবা করেছি। করোনা মহামারী ও দুর্যোগকালীন সময়ে আমি আপনাদের পাশে ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নৌকা প্রতীকই একমাত্র প্রতীক। এ সময় তিনি গলাচিপা রামনাবাদ নদীতে ব্রিজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিসহ অত্র অঞ্চলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ভেরিবাঁধ সংস্কার, টেকসই ও মজবুত করার কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী মু. মজিবর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. সাহিন সাহ, আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদ, সহসভাপতি মো. রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগ নেতা কাশিনাথ দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার মো. সাহ আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল মিয়া, গলাচিপা কালিবাড়ি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দিলিপ কুমার বনিক, বাংলাদেশ হিন্দু বৈদ্য খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা শাখার সভাপতি শংকর লাল দাস, সাধারণ সম্পাদক সমির কৃষ্ণ পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গলাচিপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয়, ডাকুয়া ভবানী কালিখোলা মাতা মন্দিরের সভাপতি পঙ্কজ গাঙ্গুলী, সাহা বাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি অনাথ সাহা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল বশার প্যাদা, গৌরা সাহা, রনজিৎ দাস, গোপাল দাস, বিমল সাহা, যাদব দাস, পরেশ দাস, নরেশ দাস, অসীম দাস, পিন্টু মালি প্রমুখ।
গলাচিপার ডাকুয়ায় জমিজমার জের ধরে দু’পক্ষের উত্তেজনা পুলিশের বাধায় নিয়ন্ত্রন
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ডাকুয়ায় জমিজমার জের ধরে দু’পক্ষের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে গলাচিপা থানা পুলিশের বাধায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা ডাকুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাজী বাড়িতে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে। এ বিষয়ে শাহিন গাজী ওরফে হাদী গাজী বলেন জমির প্রকৃত মালিক আমি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা কীভাবে মালিক দাবী করছে তা আমি জানি না। প্রতিপক্ষরা গায়ের জোরে আমার জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন সময় আমার জমির বেড়া ভেঙ্গে নষ্ট করে। প্রায় সময় গাছপালা ভেঙ্গে ফেলে। আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে। কিন্তু আমি সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সবকিছু সহ্য করে গলাচিপা থানাকে সব বিষয় অবহিত করি। প্রতিপক্ষরা প্রায় সময়ই গায়ে পড়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করে আসছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ সোহান গাজী বলেন, আমাকে হাদী গাজী আমার পথরোধ করে আমাকে মারধর করেছে। ওই জমি আমাদের। জমিটা উদ্ধারের জন্য আমি থানায় জিডি করেছি। আমাদের উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে গলাচিপা থানা পুলিশ এসে বিষয়টি মীমাংসার ব্যবস্থা করেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সালমা বেগম বলেন, হাদী গাজী এবং সোহান গাজী এরা পরস্পর একই বাড়ি ও আত্মীয় স্বজন। তাদের ডাকাডাকিতে গলাচিপা থানা পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ^জিত রায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সালিশী চলমান আছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষকে নোটিশ করে ইউনিয়ন পরিষদে এনে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার এ.এস.আই মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য হাদী গাজী এবং সোহান গাজীকে গলাচিপা থানায় নিয়ে আসি। তারা মুচলেকা দিয়ে চলে যায়।