সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে গলাচিপা প্রেস ক্লাব। জানা যায় আনন্দঘন পরিবেশে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির (২০২৩-২০২৪) মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাফর খান ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. জাকারিয়া হৃদয়। এ ছাড়া সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. সোহরাব হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অর্থ সম্পাদক হয়েছেন মো. আতিকুর রহমান, কার্যকরী ৬টি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মশিউর রহমান বাবলু, কাজী শামসুর রহমান ইকবাল, মো. জাকির হোসেন, আফরিন জাহান নিনা ও স্বপন ব্যানার্জী। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের দোতলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য প্রেস ক্লাব কর্তৃক আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম পটুয়াখালী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব দাসকে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেন। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বদরুল আমিন খান (শামীম)। তাকে সহযোগিতা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাহাবুদ্দিন মুন্সী ও সার্টিফিকেট পেশকার মো. উজ্জ্বল হোসেন। পটুয়াখালী প্রেস ক্লাব নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সকল সদস্যকে গলাচিপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান রিচার্ড সহ প্রেস ক্লাবের সকল সদস্য এবং সাংবাদিকবৃন্দ তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে গলাচিপা প্রেস ক্লাব
পটুয়াখালী গলাচিপার আরো খবর
গলাচিপায় বিপন্ন প্রজাতির বনবিড়াল উদ্ধারের পর ইউএনওর হস্তক্ষেপে বনে অবমুক্ত
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিপন্ন প্রজাতির একটি বন বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পাশর্^বর্তী এলাকা কমলাপুর এলাকার আওয়াল মুসুল্লীর ধানক্ষেত থেকে বিড়ালটি উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায় রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় গ্রামবাসী জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে বন বিড়ালটি আটক করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল এর নির্দেশনায় এনিম্যাল লাভারস অফ পটুয়াখালীর স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যান ও পরিবেশবাদী সংগঠনের গলাচিপা শাখার টিম লিডার সোহেল হোসেন, রাসেল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বন বিড়ালটি উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে গলাচিপা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বিকাল ৫ টায় বন বিড়ালটি চরকার্ফামার চরে অবমুক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বন্য প্রাণী সংরক্ষণে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ তৎপর রয়েছে। লোকালয়ে কোন বন্য প্রাণী পাওয়া গেয়ে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন।
শিক্ষা মন্ত্রী ও পরিচলকের সদয় দৃষ্টি কামনা
গলাচিপায় আসন সীমিত থাকায় ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারায় ঝড়ে পড়ার আশংকা
পটুয়াখালীর গলাচিপায় আসন সীমিত থাকায় ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারায় ঝড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জানা যায় চলতি বছরে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে ১১০টি আসন থাকায় ৫০ শিক্ষার্থী এখনও ভর্তি হতে পারে নি। তাদেরকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে। অন্য কোন স্কুলে আবেদন না করায় ৫০ শিক্ষার্থী লটারী ব্যবস্থা ও সীমিত আসন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে অভিভাবক মহল ও শিক্ষার্থীরা হতাশ প্রকাশ করেছে। অভিভাবকদের এখন দুশ্চিন্তার কারণ তাদের সন্তানরা এখন ঝড়ে পরবে। পড়ালেখার প্রতি অনাস্থা তৈরি হবে। এখনও ভর্তি হতে পারেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বছরের নভেম্বর মাসে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী তারা অপেক্ষমান তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে প্রথম তালিকায় লটারীতে ১১০ জন ভর্তির জন্য অনুমতি পান। কিন্তু বিদ্যালয়টিতে ১০০ জন ভর্তি হলেও বাকি ১০ জন ভর্তি না অন্যত্র চলে যান। এই সুযোগে অপেক্ষামান তালিকা থেকে ১-১০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হলেও ১১-২০ পর্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তির আশায় বিদ্যালয়ের সামনে আসলেও এখন পর্যন্ত ভর্তি হতে পারে নি। এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক জানান, প্রতিদিন স্কুলে ঘুরে আসছেন কিন্তু ভর্তি করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানতে না পারায় তারা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। আমরা গলাচিপা শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়টিতে আসন সংখ্যা আরো বাড়ানোর জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আবেদন জানাচ্ছি। যাতে আমাদের মত প্রতিবছর অন্য কোন অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিয়ে আর ভোগান্তির শিকার না হন। সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ না পেলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। তাই অতি দ্রুত আমরা আরও কিছু আসন বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। এ বিষয়ে গলাচিপা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুশীল চন্দ্র বিশ^াস বলেন, গলাচিপা পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে স্কুলটি অবস্থিত। এই স্কুলের ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এখান থেকে পড়ালেখা করে এখন অনেকে দেশের বিভিন্ন বড় বড় অফিসার হয়েছে। তাই এখানে পড়ানোর স্বপ্ন প্রতিটি বাবা-মা দেখেন। ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিচালকের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। কেননা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষার জন্য যা যা দরকার তিনি তা করেন। এ বিষয়ে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, সারা দেশেই সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য অভিভাকরা চেষ্টা করেন। ফলে আসনের চেয়ে অনেক বেশি আবেদন অনলাইনে জমা হয়। সেখান থেকে লটারীর মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সরকারিভাবে আমাদের বিদ্যালয়ে ১১০টি আসন রয়েছে। এর বেশি ভর্তির সুযোগ আমাদের কাছে নাই। যারা লটারীতে টিকেছেন আমরা তাদেরকে ভর্তি করেছি এবং লটারীর মধ্য থেকে ১০ জন ভর্তি না হওয়ায় অপেক্ষমান তালিকা থেকে ১-১০ জন শিক্ষার্থীদের আমরা ভর্তি করিয়েছি। যারা ভর্তি হতে পারে নি সেসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে এসে আবার ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে আমাদের কোন হাত নাই। আমরা ১০ জনের ভর্তির জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি। মন্ত্রনালয় থেকে আমাদের এখানে ১০টি আসন বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা আরো ১০ জনের ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব নতুবা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। উর্দ্বোতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। এ বিষয়ে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বিষয়টি নিয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন বলে জানান।
গলাচিপায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রিজাইডিং, সহকারী ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রিজাইডিং, সহকারী ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১৩ পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের গলাচিপা উপজেলা অংশের ১ শত ২০টি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের নির্বাচনী আচরণ সহ অবাধ ও সুষ্ঠ ভোট গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বিষয়ে এক প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় গলাচিপা সরকারি কলেজ অডিটরিয়াম হলে দিনভর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক খন্দকার আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগীয় উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (বরিশাল রেঞ্চ)। প্রশিক্ষণে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা কর্মকর্তার বৃন্দ অংশ নেন। সভায় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি মহোদ্বয় বলেন, কোন অবস্থাতেই এই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দায়িত্ব অবহেলা, পক্ষ-পাতিত্বের অভিযোগ হলে রাষ্ট্রিয় আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকার অনুরোধ করেন।