আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকদের দক্ষতা বাড়াতে এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্বি করতে পিরোজপুরে ২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পিরোজপুর সদর ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় সমলয় ব্লকে বোরো হাইব্রীড চাষাবাদের এ প্রদর্শনী প্রকল্প ২টি বাস্তবায়ন করছে। এ ২টি প্রকল্পের অবস্থান হচ্ছে পিরোজপুর সদর উপজেলার নন্দীপাড়ায় এবং অপরটি হচ্ছে মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোড়ে। প্রতিটি প্রকল্পে ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৫শত টাকা করে দু’টিতে বরাদ্দ এসেছে ২৮ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা। পিরোজপুর সদর উপজেলার কৃষি অফিসার শিপন চন্দ্র ঘোষ জানান,শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের নন্দীপাড়া মাঠে বোরো হাইব্রীড ধানের প্রদর্শনী ব্লকে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫০ একর জমিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা হবে। এ লক্ষ্যে ৫০ জন কৃষকের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এপদ্ধতিতে বীজ বপন করে চারার উৎপাদন অচিরেই শুরু করা হবে। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অরুন রায় জানান- প্রযুক্তি ব্যবহারে হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে এ সমলয় প্রদর্শনী ব্লক দু’টিতে ট্রেতে চারার উৎপাদনের পর ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে জমি চাষ করে চারা রোপণের উপযুক্ত করে তোলা হবে। পরবর্তীতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে চারা রোপণ এবং ধান পাকলে কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কর্তন ও মাড়াই করা হবে। মঠবাড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান হিরু জানান এসকল প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে চাষিদের শ্রম মজুরীর প্রায় ৪০ ভাগ অর্থ বেঁচে যাবে। সমলয় চাষাবাদের প্রদর্শনী দেখে চাষিরা প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেরা লাভবান হবার পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে। এ পদ্ধতির চাষাবাদে ৫০ একর জমিতে ১শত ৬০ মে:টন ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সমলয় প্রদর্শনীর চাষি নন্দীপাড়া গ্রামের শ্যামল মৃধা জানান এ পদ্ধতিতে চাষাবাদে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষিতে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের পথ সুগম হবে। এ কারণে এ অঞ্চলের কৃষকরা আকৃষ্ট হচ্ছে। কৃষি শ্রমিকের যে সংকট তাও নিরসন সম্ভব হবে এবং পাশাপাশি ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।