জাতিসঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সশস্ত্র বাহিনী আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।তিনি মঙ্গলবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ৫৩তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।এ সময় জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া, অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, নিরাপত্তা বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল উনাইসি ভুনিওয়াকা, জাতিসংঘের মিলিটারি এডভাইজর জেনারেল বিরামে ডিওপসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ ও সামরিক উপদেষ্টাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। াষ্ট্রদূত মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষেরও সম্ভ্রম হারানো নারীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তাঁদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কারণেই আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।এসময় তিনি ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হওয়া মহান মুক্তিযুদ্ধে নবগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান তুলে ধরেন।তিনি আরো বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধস্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। এসকল কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়নে বিভিন্নমূখী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এই উদ্যোগ সমূহের বাস্তবায়ন সশস্ত্র বাহিনীকে আরো দক্ষ ও শক্তিশালী করে তুলবে।অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ যে অবদান রেখে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।অনুষ্ঠানে দেশে-বিদেশে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আগত অতিথিদের উদ্দেশে ব্রিফিং প্রদান করেন মিশনের ডিফেন্স এ্যাডভাইজার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামান।পরে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের নিয়ে কেক কাটেন এবং সকলকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান।সময় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।