কৃষি ২২ নভেম্বর ২০২৩

আমনে পোকার আক্রমণ, কীটনাশকেও মিলছে না প্রতিকার

post

ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে আমনের ক্ষেতে কারেণ্ট পোকার আক্রমণ। দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের সোনালী ফসল। ফলন কম পাওয়া আর লোকসানের শঙ্কায় দিশেহারা মেহেরপুরের কৃষকরা। বলছেন, উৎপাদন খরচও উঠবে না।কদিন পরেই শুরু হওয়ার কথা আমন কাটার উৎসব। ফলনও হয়েছিল আশানুরূপ। হঠাৎ বাদামি ঘাস ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান। কীটনাশক প্রয়োগেও ফল পাচ্ছেন না চাষিরা। তারা জানান, আক্রমণ শুরুর ৩-৪ দিনেই হলুদ বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে ধানসহ গাছ।কাঙ্খিত ফলন না পেয়ে লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা। বলছেন, বিঘাপ্রতি ২০-২২ মণ ফলনের কথা থাকলেও হচ্ছে মাত্র ১০-১২ মণ। এবার বিঘাপ্রতি আবাদে খরচ হয়েছে ১৫-১৬ হাজার টাকা। এই ফলনে বাজারে ধানের যে দাম তাতে খরচও উঠবে না।কৃষকরা জানান, বিঘাপ্রতি ১৪-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পোকা লেগে সব ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। এবার খরচ উঠবে না।আক্রান্ত গাছের গোড়ায় কীটনাশক স্প্রে’র পরামর্শ কৃষি বিভাগের। তাতে ওপরে উঠতে পারবে না পোকা, কমবে ক্ষতির পরিমাণও।মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, “৮৭-৭১ এই ধানের জাতগুলো চাষ করবেন এবং লাইনে ধান লাগাবেন। ১০ লাইন পর পর এক লাইন ফাঁকা রাখবেন, সে ক্ষেত্রে পোকার আক্রমণ কম দেখা দিবে। কারণ যেখানে অন্ধকার পাবে সেখানেই এই পোকাটা যায়। লাইনে লাগালে আলো-বাতাস ঢুকতে পারে,সেখানে আক্রমণ কম থাকে।চলতি মৌসুমে আমন ধানের আবাদ হওয়া জেলার ২৬ হাজার ১৭০ হেক্টর জমির মধ্যে ১১ থেকে ১২ হাজার হেক্টরেই দেখা দিয়েছে কারেন্ট পোকার আক্রমণ। 

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner