গ্রাম বাংলা ১৬ অক্টোবর ২০২৫

সিইপিজেড-এ আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা ও নৌবাহিনীর সহায়তা, ২৫ শ্রমিক উদ্ধার

post

নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন

চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার একটি কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। আগুনে আক্রান্ত পোশাক কারখানা থেকে এ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।সেখানে আরও কোনো শ্রমিক-কর্মচারী আটকে আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিইপিজেড-এর ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের কারখানায় আগুন লাগে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামির হোসেন বলেন, “ইপিজেড-এর ভেতরে একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। সেখানে মেডিকেল অ্যাকসেসরিজ তৈরি হতো। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আটতলা ভবনটির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো কাজ করছে।তিনি বলেন, “আগুনের যে অবস্থা, তাতে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও আমরা পাঁচতলা পর্যন্ত পৌঁছেছি এবং সেখানে আমাদের টিম কাজ করছে। এখন আমরা চেষ্টা করছি ছয়তলা ও সাততলার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। ভবনের চারপাশে বিদ্যুতের লাইন রয়েছে, ফলে ভেতরে প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।প্রায় ২৫ শ্রমিককে উদ্ধার করার তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের টিম ইতোমধ্যে ২০ থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে। আরও কেউ ভেতরে আছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যতক্ষণ না আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, ততক্ষণ কিছু বলা সম্ভব নয়। আমরা ভবনটি চারপাশ থেকে ঘিরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। যেহেতু এটি একটি টেক্সটাইল কারখানা, এখানে প্রচুর দাহ্য পদার্থ রয়েছে।তিনি আরও বলেন, “মানুষ যাতে হতাহত না হয়, সে বিষয়ে আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে। সম্পদ রক্ষার চেষ্টাও করছি। ছয়তলা ও সাততলায় লোকজন ছিল। যখন দেখলাম আগুনের লেলিহান শিখা, তখনই তাদের উদ্ধার করে নিচে এনে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। আটতলায় কেউ আছেন কি না, তা জানতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, তবে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুপুর আড়াইটার দিকে আগুন লাগার খবর পৌঁছায়। সাততলা ভবনটির ছয়তলায় আগুন লাগার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে।আগুন কবলিত ভবনটির চারপাশে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ যাতে ভিড় না করে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের কারখানায় চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত তোয়ালে ও অ্যাপ্রোন জাতীয় পোশাক তৈরি করা হতো বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner