টাওয়ার হ্যামলেটস্ —এ স্থানীয় নারীদের জন্য একটি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহানুভূতিশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে, “নারী সেন্টার” নামে নতুন একটি নারী সহায়তা কেন্দ্র চালু হচ্ছে।
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় এই কেন্দ্রটি চালু হবে, যা বিশেষভাবে স্থানীয় নারীদের বৈচিত্র্যময় চাহিদার প্রতি সংবেদনশীলতা রেখে তৈরি করা হচ্ছে এবং এটি নারীদের ক্ষমতায়ন, উপকার এবং সুযোগ বৃদ্ধির জন্য নানা ধরণের সেবা প্রদান করবে।
এক্সিকিউটিভ মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “নারী সেন্টার আমাদের অঙ্গীকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিফলন — যেখানে এই বারার প্রত্যেক নারী সম্মান, সমতা ও সহানুভূতির সাথে সেবা পাবেন। এটি শুধু একটি কেন্দ্র নয়, এটি হবে নারীদের জন্য একটি আশ্রয়, উন্নয়নের স্থান এবং সংযোগের প্ল্যাটফর্ম।”
২৪ জুলাই কেবিনেট মেম্বার ফর কাস্টমার সার্ভিসেস, ইকুয়ালিটি এন্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন, কাউন্সিলর বদরুল চৌধুরী এবং কেবিনেট মেম্বার ফর হেলথ, ওয়েলবিয়িং এন্ড সোশ্যাল কেয়ার কাউন্সিলর সাবিনা আখতার কাউন্সিল কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখতে নারী সেন্টার—এর সাইট পরিদর্শন করেন।
‘নারী সেন্টার’ হবে একটি শিক্ষা ও বিকাশ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রটিতে থাকবে বিভিন্ন স্বীকৃত আজীবন শিক্ষা কোর্স, যেখানে অনসাইট চাইল্ডকেয়ার সুবিধাও থাকবে। নারীদের উন্নয়নে থাকবেঃ চাকরি, উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও ক্যারিয়ার অগ্রগতির পরামর্শ, পজিটিভ প্যারেন্টিং প্রোগ্রাম, সম্পূর্ণ সজ্জিত আইটি স্যুটে ডিজিটাল সাক্ষরতা কোর্স, স্কিল ফর লাইফ (জীবন দক্ষতা) ভিত্তিক কোর্স, কমবয়সী মেয়েদের জন্য আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য আগাম সহায়তা প্রোগ্রাম।
সেন্টারটি স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য আলাদা সাপোর্ট হাব হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এখানে একটি আলাদা স্বাস্থ্য ও মানসিক কল্যাণ কেন্দ্র থাকবে, যেখানে নারীরা পাবেন— বেনিফিট, বাসস্থান, আইনগত সহায়তা, লোন বা ঋণ ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ পরিবেশে কাউন্সেলিং, মাইন্ডফুলনেস ও সুস্থতা কর্মশালা, প্রসবোত্তর বিষণ্ণতা, মেনোপজ, একাকীত্ব বা শোক কাটিয়ে ওঠার সহায়তা, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর মায়েদের জন্য সেন্সরি স্পেস সহ বিশেষ সহায়তা।
‘নারী সেন্টার’ হবে শুধুমাত্র—নারীদের জন্য সামাজিক মেলামেশার জায়গা, যেখানে থাকবে, ভিন্ন প্রজন্মের জন্য একত্রে বসার স্থান, যেমনঃ নিয়মিত কফি ও চায়ের আসর, শুধু নারীদের জন্য খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্কিং ও উদযাপনের জন্য ইভেন্ট স্পেস।
কাউন্সিলর সাবিনা আখতার বলেন, “নারী সেন্টার এমন একটি উদ্যোগ, যা স্থানীয় নারীদের জন্য সহায়তা ও সুযোগকে আরও সহজলভ্য করে তুলবে। এটি শুধু পরিষেবা নয় — এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে নারীরা নিজেদের নিরাপদ, দৃশ্যমান ও মূল্যবান বলে অনুভব করতে পারবেন।”
কাউন্সিলর বদরুল চৌধুরী বলেন, “শিক্ষা থেকে শুরু করে মানসিক সুস্থতা পর্যন্ত, এই কেন্দ্রটি আমাদের বরোর নারীদের জন্য সমতা ও অন্তর্ভুক্তির প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।”
নারী সেন্টার ২০২৫ সালের শেষ দিকে চালু হবে এবং এটি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ, যার লক্ষ্য হলো একটি নিরাপদ, সমতাভিত্তিক এবং সহায়ক সমাজ গড়ে তোলা।