নুরুল হক রুনু : র্দীঘ প্রায় চার বছর আইনি লড়াইয়ের পর আদালতের রায়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতা আবু তাহের আজাদ। তিনি নেত্রকোণার মদন উপজেলার ১নং কাইটাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোণার নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুব আহমেদ প্রকাশ্য আদালতে
ভোট পুনর্গণনা শেষে তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
আবু তাহের আজাদ মদন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মদন উপজেলার ১নং কাইটাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সাফায়াত উল্লাহ রয়েলকে ৩৫ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ফলাফলে দেখা যায়, সাফায়াত উল্লাহ পেয়েছিলেন ৫ হাজার ২২৬ ভোট এবং আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবু তাহের আজাদ পেয়েছিলেন ৫ হাজার ১৯১ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের ফলাফলের বিরোধিতা করে ওই বছরের এপ্রিল মাসে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন আনারস প্রতীককে প্রার্থী আবু তাহের আজাদ। মামলায় তিনি ভোট পুনর্গণনার দাবি জানান। তবে প্রাথমিকভাবে মামলাটি আদালত খারিজ করে দিলে তিনি উচ্চতর আদালতে আপিল করেন।
বহু আইনি জটিলতা কটিয়ে শেষে পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে ভোট পুনর্গণনা করা হয়। এতে দেখা যায়, আবু তাহের আজাদ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাফায়াত উল্লাহর চেয়ে ৮৩৮ ভোট বেশি পেয়েছেন। পরে বিচারক তাঁকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
আবু তাহের আজাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, “প্রকাশ্য আদালতে ভোট গণনার মাধ্যমে সঠিক ফলাফল উঠে এসেছে। এতে প্রমাণ হয়েছে, আবু তাহের আজাদ প্রকৃত বিজয়ী ছিলেন। আদালতের এ রায় সুবিচারের দৃষ্টান্ত স্থানপ করেছে।
এ ব্যাপারে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাফায়াত উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। বিধায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই রায়ের পর আদালত চত্বরে আবু তাহের আজাদের সমর্থকরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে আনদ উল্লাস করেন।