টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল আরও ৩ হাজার ৩০০টি প্রকৃত সাশ্রয়ী বা জেনুইন এফরডেবুল ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, যা বর্তমান প্রশাসনের "মেয়রস এক্সেলেরেটেড হাউজিং প্রোগ্রাম" বা এমএএইচপি-এর অংশ। বুধবার কাউন্সিলের ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এই নতুন হাউজিং প্রকল্পের ঘোষণা দেন নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান।
এই ৩,৩০০ ঘর নির্মাণের লক্ষ্য বর্তমান মেয়াদের জন্য নির্ধারিত ৪,০০০ সাশ্রয়ী হাউজিং-এর প্রতিশ্রুতির অতিরিক্ত।
মিটিংয়ে মেয়র জানান, "আমরা আমাদের ২০২২ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া ৪,০০০ ঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে এবং নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেই লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাব।"
মোট ৩৭টি কাউন্সিলের নিজস্ব সাইট ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং আরও ৭টি সাইট প্রস্তুতির পর্যায়ে আছে — যা পুরো বারার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। এই ঘরগুলো হবে প্রকৃত অর্থে সাশ্রয়ী অর্থাৎ সামর্থাধীন রেন্টের জন্য এবং পরিবারের জন্য উপযোগী। পাশাপাশি, প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প এলাকার পূর্ণাঙ্গ রিজেনারেশন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।
মেয়র বলেন, “আমরা আমাদের জনগণকে তাদের নিজস্ব কমিউনিটিতে রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও আমরা আরামদায়ক ও মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করতে চাই।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে হাউজিং বিভাগে জরুরি মেরামত ও নিরাপত্তা উন্নয়নে ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মেয়র স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনই দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ কাউন্সিল হোম নির্মাণে সফল হয়েছিল, যার সংখ্যা ছিল প্রায় ৫,৬০০। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রশাসনও লন্ডনে অন্যতম শীর্ষ আবাসন নির্মাতা হিসেবে এগিয়ে চলেছে।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মেয়র আরও জানান, টাওয়ার হ্যামলেটসের নতুন ‘লোকাল প্ল্যান’ অনুমোদিত হলে আগামী ১৫ বছরে বারাতে ৫৯ হাজার নতুন ঘর নির্মাণ সম্ভব হবে — অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে ৪,০০০ ঘর।
বারার হাউজিং বিষয়ে মেয়রের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নিয়ে অন্যান্য কেবিনেট মেম্বাররাও অংশ নেন।
কাউন্সিলর কবির আহমেদ, কেবিনেট মেম্বার ফর রিজেনারেশন অ্যান্ড হাউজবিল্ডিং বলেন, "আমাদের লক্ষ্য শুধুই ঘর তৈরি করা নয়, বরং টেকসই, মানসম্মত এবং মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম আবাসন নিশ্চিত করা। এই প্রকল্প আমাদের কমিউনিটির ভবিষ্যতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।"
ডেভিড জয়েস, কর্পোরেট ডিরেক্টর ফর হাউজিং অ্যান্ড রিজেনারেশন বলেন, "পুরো টিম নিরলস পরিশ্রম করেছে এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের পথে আনতে। আমরা গর্বিত যে, এই কাজের মাধ্যমে হাজারো পরিবারকে নিরাপদ ও উপযুক্ত আবাসনের সুযোগ করে দিতে পারছি।"
*সংক্ষেপে মূল পয়েন্টসমূহ:*
* অতিরিক্ত ৩,৩০০ সাশ্রয়ী আবাসন (বাড়ি-ঘর, ফ্ল্যাট) নির্মাণের পরিকল্পনা
* আগের প্রতিশ্রুত ৪,০০০ ঘর সময়মতো সম্পন্ন হবে
* ৩৭টি সাইট চিহ্নিত, আরও ৭টি প্রস্তুতির পর্যায়ে
* ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে জরুরি মেরামত ও নিরাপত্তা উন্নয়ন
* দীর্ঘমেয়াদে ৫৯,০০০ নতুন ঘর নির্মাণের সম্ভাবনা