গ্রাম বাংলা ২৩ এপ্রিল ২০২৫

চাপের মুখে উপাচার্য অপসারণ মেনে নেবে না কুয়েট শিক্ষক সমিতি: সংলাপের আহ্বান

post

মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক সমিতি জানিয়েছেন—চাপ প্রয়োগ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদকে অপসারণ করা হলে তারা তা মেনে নেবেন না। একইসঙ্গে তারা সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়েছেন।

সোমবার দুপুর ১টায় কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন এবং অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়াসহ অন্যান্য শিক্ষকরা এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, চলমান অস্থিরতা নিরসনে শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হয়নি—যা তাদের হতাশ করেছে।

অধ্যাপক আশরাফুল গণি বলেন, অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী মিছিল করলে সেটিকেই কুয়েট উত্তাল বলে প্রচার করা হচ্ছে, অথচ এখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যের গায়ে ধুতু দিয়েছে, মারধর করেছে। কয়েকজন শিক্ষককেও লাঞ্চিত করা হয়েছে, তাদের নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে—যা মেনে নেওয়া যায় না।

শিক্ষকরা এই ঘটনাগুলোর বিচার দাবি করেছেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সকল পক্ষের প্রতি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন। শিক্ষক সমিতির অবস্থান: কোনো পক্ষের চাপে উপাচার্য অপসারণ নয়, শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান, শিক্ষকদের প্রতি কটুক্তি ও লাঞ্ছনার নিন্দা ও অস্থিতিশীলতা নিরসনে গঠনমূলক আলোচনার তাগিদ।

এই প্রতিবাদ ও আহ্বান এমন সময়ে এসেছে, যখন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে মানববন্ধন, মিছিল, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

বিশ্লেষকদের মতে, একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নয়—সমঝোতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে সমস্যার টেকসই সমাধান খোঁজা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষা করতে হলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে আস্থার সেতু গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি।


আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner