আন্তর্জাতিক ০৬ মার্চ ২০২৫

হামাসকে ট্রাম্পের ‘সর্বশেষ হুঁশিয়ারি’

post

নিউজ ডেস্ক

টিভি নাইনটিন অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রঃ অবশিষ্ট ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও গাজার অধিবাসীদের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, এটা হামাস ও ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘শেষ হুঁশিয়ারি’। এরপরও যদি তারা তাদের মুক্তি না দেয়, তাহলে তাদেরকে হত্যা করা হবে। অবরুদ্ধ গাজায় দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে এই হুমকি দিলেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, 

    এটা আপনাদের জন্য শেষ সতর্কবার্তা! হামাস নেতাদের এখনই গাজা ছেড়ে চলে যেতে হবে। আপনাদের এখনও সুযোগ আছে।

গাজাবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আর গাজার জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। কিন্তু যদি তোমরা জিম্মিদের আটকে রাখো তাহলে ভাল হবে না। যদি তোমরা সেটা করো, তাহলে তোমরা সব মারা যাবে! বুদ্ধি খাটিয়ে সিদ্ধান্ত নাও।’ বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস এক প্রতিবেদনে জানায়, গাজা উপত্যকায় আটক মার্কিন জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি বৃহত্তর চুক্তির লক্ষ্যে হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদন নিশ্চিত করেন হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট। তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে, আমি এখানে সেগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করব না, আমেরিকানদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’ এরপরই ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হামাসকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।ট্রাম্প গাজার সমগ্র জনসংখ্যাকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করার এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে নেয়ার কথা বলে আসছেন। তবে এখন আবার তিনি গাজার বাসিন্দাদের ‘সুন্দর ভবিষ্যতের’ প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।তবে এটা দিয়ে ট্রাম্প কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। কারণ এর আগে তিনিই বলেছেন যে, তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাজার ফিলিস্তিনিরা আর তাদের ভূখণ্ডে ফিরতে পারবে না।এর আগেও ট্রাম্প এমন হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু হামাস তখন জোর দিয়েই বলেছে যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবেই বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে।গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি)। কিন্তু ইসরাইল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে যেতে অস্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির বদলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির জন্য প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তবে হামাস এ বিষয়ে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।হামাস দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে অটল রয়েছে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের চুক্তি কার্যকর হলে আটক সব জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে হামাসকে। অন্যদিকে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner