প্রেস বিজ্ঞপ্তি : যুক্তরাজ্য জাসদের উদ্যোগে ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ৪ ঠা নভেম্বর সোমবার পূর্ব লন্ডনের একটি হলে যুক্তরাজ্য জাসদের কার্যকরী সভাপতি জনাব মুজিবুল হক মনি'র সভাপতিত্বে এবং শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুর এর পরিচালনায় প্রথমে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধে ও সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডাকসু সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য ন্যাপ সভাপতি জনাব আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান। অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন জাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সর্ব ইউরোপীয় জাসদের সমন্বয়ক মতিউর রহমান মতিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক খসরুজ্জামান, গ্রেটার লন্ডন জাসদের সভাপতি সৈয়দ এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাবুল সামসুজ্জামান, যুব জোট সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুক্তরাজ্য জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান মিয়া, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক সভাপতি ড. আনসার আহমদ উল্লাহ, বাসদ নেতা মোহাম্মদ শওগত, সোস্যাল এক্টিভিটস লিপি হালদার, সাংবাদিক আব্দুল কাদির মুরাদ, গনজাগরণ মঞ্চ এর শাকিল আহমেদ সোহাগ, জাসদ নেতা আবু জাফর, গ্রেটার লন্ডন জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুক হোসেন, কমিউনিটি এক্টিভিটস হাফসা ইসলাম, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ, বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা আনিসুল হক, জাসদ নেতা মশিউর রহমান সোহেল, জাসদ নেতা তাজ উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা আব্দুল বাসিত, জাসদ নেতা জাহেদ আলী খুসনু ও জাসদ নেতা প্রদীপ রাউত সহ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর জন্ম ১৯৭২ সালে ৩১ শে অক্টোবর। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশে এক ঝাঁক তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা জাসদ প্রতিষ্ঠা করেন।এবং একটি শোষণ মুক্ত সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল।কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষের জন্য শ্রেনীহীন,শোষণহীন, সমাজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণার মধ্যদিয়ে তাঁর ধারাবাহিকতায় ৫২ বছর দলটির কৃষক শ্রমিক, মেহনতী মানুষের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিল। আজ ও কাজ করে যাচ্ছে সেই ধারাবাহিকতায়।
জামায়াত শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যে ভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে দেশে যে ভাবে নৈরাজ্য করে যাচ্ছে তাদের কে সমুচিত জবাব দেওয়া উচিত। দেশ কে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে হাজার হাজার ছাত্র জনতা কে হত্যা করেছে এবং পঙ্গু করে দিয়েছে। তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ও দু'লক্ষ মা বোনের ইজ্জত ও সম্মানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে শকুনের মতো খামছে ধরেছে। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা সংবিধান, জাতীয় সংগীত, বিচার বিচার বিভাগ, স্বাধীনতা কে ধ্বংস করার নীলনকশা করে যাচ্ছে। দেশের সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। জামায়াত শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তাদের চক্রান্তকে ধুলিসাত্ করে দিতে হবে। দেশের সকল প্রগতিশীল চিন্তা ধারার সংগঠন, রাজনৈতিক দল,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্য বদ্ধ ভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে।
জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক হাসানুল হক ইনু'সহ সকল রাজনৈতিক নেতাদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সংবিধান সংস্কারের নামে সকল ষড়যন্ত্র মূলক নীলনকশা বাতিল করতে হবে। অনতিবিলম্ব সকল সাজানো ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৭১ এর পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্য বদ্ধ হতে হবে। মীমাংসিত বিষয়কে নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা উচিত।
বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা ও মুল্যবোধের বাংলাদেশ পুনরুদ্ধারে সংকির্ণতা, অহমিকা, আত্ব অহংকার পরিহার করে মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।জামায়াত শিবিরের ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের প্রেতাত্মা সমন্নয়ক নামের টোকাই" মব " গং এবং পাকিস্তান পন্থা ফেলোটিকদের পদলেহী ড. ইউনুস সরকার কে বিতাড়িত করতে হবে। উল্লেখ্য, প্রতিষ্টা বার্ষিকী পূর্বে যুক্তরাজ্য জাসদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।পরিশেষে নৈশ ভোজনের আয়োজন ছিল।