নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
বাগেরহাট: বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য সজীব তরফদারকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সজীবের মাথায় চারটি গুলি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মির্জাপুর আমতলা মসজীদের সামনে খুন হন তিনি।জানা যায়, ডেমা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে চাচা কামাল তরফদারকে সঙ্গে নিয়ে দুপুরে মোটরসাইকেলে করে বাগেরহাট-রামপাল সড়ক দিয়ে বাগেরহাট শহরে যাচ্ছিলেন সজীব। দুপুর ২টার দিকে পাশের গ্রাম মির্জাপুরের আমতলা মসজীদের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের থামিয়ে সজীবকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এসময় গুলিতে আহত হন সজীবের চাচা কামাল। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত সজীব তরফদার ডেমা গ্রামের মৃত সিদ্দিক তরফদারের ছেলে। সজীবের স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান রয়েছেন। সজীব তরফদার ডেমা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনবার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি বুলেটের খোসা, একটি দা’সহ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে।স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এটি পরিকল্পিত হত্যা, এর পেছনে যারা রয়েছেন, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।সজীবের বড় ভাই নাজমুল তরফদার বলেন, সজীব বাড়ি থেকে বাগেরহাটে যাচ্ছিল। সঙ্গে চাচা ছিল। খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি সজীবের মাথায় চারটি গুলি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, সজীব একজন জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেও তার প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। এটা পরিকল্পিত হত্যা। অপরাধী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া বুলেটের খোসা থেকে বোঝা যায়, শটগান দিয়ে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা নিশ্চিত করতে একাধিক দল ছিল, হত্যাকারীরা মুখোশ পড়া ছিল। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।এদিকে সাবেক এ বিএনপি নেতার হত্যাকারীদের বিচার দাবি ও শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম ও সাবেক সভাপতি এম এ সালাম।