গ্রাম বাংলা ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

গলাচিপায় উপজেলা আ’লীগের মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভা

পটুয়াখালী গলাচিপার আরো খবর

post

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলা আ’লীগের মহান বিজয় দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আ’লীগের আয়োজনে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল ৫ টায় উপজেলা আ’লীগের অফিস কার্যালয়ে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি হাজী মু. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা আ’লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিন বাংলার রূপকার গলাচিপা-দশমিনার গণমানুষের নয়নমনি নৌকা মার্কার মনোনিত প্রার্থী এসএম শাহজাদা (এমপি), উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মস্তফা টিটো, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মু. সাহিন। আরও উপস্থিত ছিলেন কালিবাড়ী কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দিলিপ বণিক, ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ^জিত রায়, চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ, গলাচিপা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় প্রমুখ। দিবসটি উদযাপনের লক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

গলাচিপায় রেকর্ডীয় জমির মুখসায় তরমুজ চাষ করে বিপাকে তরমুজ চাষী

পটুয়াখালীর গলাচিপায় রেকর্ডীয় জমির মুখসায় তরমুজ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন তরমুজ চাষী মো. জাকির হোসেন (৪৭)। মো. জাকির হোসেন হচ্ছেন উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের চরসুহরী গ্রামের মো. সুরত আলীর ছেলে। পেশায় তিনি একজন জেলে হলেও নদীতে মাছ না থাকায় এবং বিভিন্ন সময় মাছ ধরায় অবরোধ থাকায় বিকল্প পদ্ধতিতে জীবিকার সন্ধানে নিজ রেকর্ডীয় জমিতে মৌসুমী ব্যবসা তরমুজ চাষের উদ্যোগ নেন। রেকর্ডীয় জমিতে তরমুজ চাষের পাশাপাশি জমির কোল ঘেষে জমির মুখসায় নদী। জোয়ারের সময় নদীর পানি জাকির হোসেনের রেকর্ডীয় জমিতে প্রবেশ করলে সম্পূর্ণ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে। এই ভেবে জমির মাথায় জোয়ারের পানি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করলে কতিপয় কুচক্রী মহল তার তরমুজ চাষে বাধা প্রদান করে আসছে। এ বিষয়ে অসহায় জাকির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পেশায় একজন জেলে। নদীতে এখন আগের মত মাছ না থাকায় ছেলে মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছি। তাই আমার কিছু জমি আছে। অন্য মানুষের কাছ থেকে কিছু জমি একসোনা নিয়ে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে ক্ষেতটি পরিচর্যা ও তরমুজ চাষের পরিকল্পনা করি। কিন্তু কিছু লোক এসে আমাকে জমি চাষে বাধা প্রদান করে। আমি যদি এই জমি চাষ না করতে পারি তাহলে করোনাকালীন সময় এবং পরে বিভিন্ন মানুষ ও এনজিওর কাছ থেকে ঋণ শোধ করতে পারব না। এতে আমার বাঁচার আর কোন পথ থাকবে না। আমার জমির সাথেই আমার দখলে সামান্য কিছু খাস জমি রয়েছে। ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করে জমিটি আমি ভোগ দখল করছি এবং ডিসিআর নেব। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. দুলাল প্যাদা বলেন, আসলেই জাকির হোসেন গরিব জেলে মানুষ। সে তরমুজ চাষে উৎসাহী হওয়ায় আমরা আনন্দিত। যাতে তরমুজ চাষ করে সে তার ঋণ পরিশোধ করতে পারে। গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. হালিম হাওলাদার বলেন, জাকিরের সংসার বড় থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে আছে। ওর একার আয়ে ৪/৫ জন লোক চলে। জাকির তরমুজ চাষ করে সফল হলে ভালোভাবে বাঁচতে পারবে। গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, জাকির হোসেনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তার মত ইউনিয়নের সবাই বেকার না থেকে কর্ম করলে এলাকার উন্নয়ন হবে। 

গলাচিপায় শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীর গলাচিপায় উপজেলা শিশুকল্যাণ বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় এর যৌথ আয়োজনে চাইল্ড সেনসিটিভ সোস্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি) প্রকল্প, ফেইজ-২ এর উদ্যোগে শিশু সুরক্ষার লক্ষে শিশুর সহায়তায় ফোন চাইল্ড হেল্প লাইন “১০৯৮” এর ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মো. নাছিম রেজা, গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মস্তফা টিটো। আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. অলিউল্লাহ, উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোকলেছুর রহমান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মীর রেজাউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খোকন কুমার দাস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন, অর্জুন শীল, ছোবাহান মিয়া, গলাচিপা উপজেলা চাইল্ড প্রটেকশন সমাজকর্মী পঙ্কজ গাঙ্গুলী প্রমুখ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠা এবং শিক্ষার দিকে মনোযোগী করাতে হবে। দরিদ্র শিশুদের তালিকা করে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশু শ্রম বন্ধ করতে হবে। শিশুদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যাবে না। শিশুরা নির্যাতনের স্বীকার হলে আপনারা চাইল্ড হেল্প লাইন “১০৯৮” এ ফোন করে অবহিত করবেন। যথাযথ সময়ে শিশুদের সাহায্যের জন্য পৌছে যাবে আমাদের সমাজকর্মী ও প্রশাসনের লোকজন।

গলাচিপায় এমপি শাহজাদার সহধর্মিনীর সাথে উপজেলা মহিলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় এমপি শাহজাদার সহধর্মিনী আয়শা সিদ্দিকা রুবিয়ার সাথে উপজেলা মহিলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। ১১৩ পটুয়াখালী-৩ গলাচিপা-দশমিনা আসনে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে গড়া এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ারকে গলাচিপা-দশমিনায় আরো বেগবান করা এমপি এসএম শাহজাদা। তার মনোনয়নে খুশি এই দুই উপজেলার মহিলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ। আর তাই বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় গলাচিপা পৌরসভার ফিডার রোডে এমপি এসএম শাহজাদার নিজস্ব বাসভবনে তার সহধর্মিনীর সাথে গলাচিপা উপজেলা মহিলা আ’লীগ নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গলাচিপা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত ও জনমানুষের প্রিয় কাউন্সিলর মো. আবুল বশার প্যাদার সহধর্মিনী উপজেলা মহিলা আ’লীগ মহিলা নেত্রী মোসা. মাহমুদা বেগম, ৫ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আ’লীগ মহিলা সভানেত্রী উম্মে নুহা আম্মারা, রুজি বেগম, শারমিন বেগম, সাথী বেগম, আমেনা বেগম, ঝুমুর সাহা, রতœা শাহা, মেনকা রানীসহ আরো অনেকে। সৌজন্য সাক্ষাতকালে মোসা. মাহমুদা বেগম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবো। আমাদের দক্ষিণবঙ্গের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমরা নৌকা মার্কার প্রার্থীকে জয়ী করতে নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাব।

রাঙ্গাবালীতে জমিজমার জেরে মারধর করায় গুরুতর আহত ৪

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে  জমিজমার জেরে মারধরে ৪ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। আহতরা হলেন আনোয়ার বাদশা (৩০), মোঃ কালাম বাদশা (৬৫), মোঃ জিদান খা (২০) এবং মোঃ ইমরান চৌকিদার (২৫)। এলাকাবাসী আহতদেরকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জুবায়ের বলেন, আমার চিকিৎসাধীনে রাঙ্গাবালীর ৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা ২য় তলায় ৪, ৫, ৬ ও ৭নং বেডে ভর্তি আছেন। তাদের প্রত্যেকের মাথায় ইনজুরি আছে এবং শরীরে কালো কালো দাগ আছে। এ বিষয়ে আহত আনোয়ার বাদশার জানান, গত (১১ ডিসেম্বর) সোমবার বিকাল ৪টার দিকে জমিতে ধান দেখে প্রতিপক্ষের বাড়ী সংলগ্ন দক্ষিন পাশে সরকারি রাস্তার উপর পৌছা মাত্র প্রতিপক্ষরা মো. সাবু গাজী (৩০), মো. তাহেজ গাজী (৬৫), মোঃ জাহিদ তালুকদার (২২), মো. জিহাদ হাওলাদার (২০), মোঃ সুজন (৩০), মোঃ মিলন (২৬), মোসাঃ নিরু বেগম (৩৫) একত্রিত হয়ে ধারলো বাংলা দা, বগি দা, ছেনা, কাছি, লাঠিশোটা নিয়ে আমার উপর আক্রমণ করে এবং আমাকে আমার জমির ধারে কাছে যেতে নিষেধ করে। আমাকে বাঁচাতে আমার বাবা মো. কালাম বাদশা, মো. জিদান খা এবং মো. ইমরান চৌকিদার এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষরা তাদের উপরও চড়াও হয়ে আমাদেরকে এলোপাথারীভাবে কোপাতে থাকে। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মো. কালাম বাদশা বলেন আমার ছেলেকে মারধর করায় আমি আসলে আমাকেও ওরা রেহাই দেয় নাই। আমাদেরকে উদ্ধারে মো. জিদান খা এবং মো. ইমরান চৌকিদার আসলে তাদেরকেও রেহাই দেয় নাই। আমি বৃদ্ধ মানুষ। আমি কি মারধর করতে পারি। ওরা আমাকে গরুর মত পিটিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ মো. সাবু গাজীর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারাও আমাদেরকে মারধর করেছে। আমরাও আহত হয়েছি। ওই জায়গার মধ্যে আমাদেরও ভাগ আছে। এ সম্পর্কে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নসরু মৃধা বলেন, এই জমির প্রকৃত মালিক আনোয়ার বাদশার বাবা মো. কালাম বাদশা গংদের। এই জমি মো. সাবু গাজী গংরা দাবী করলে এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার বসা হলেও মো. সাবু গাজী গংরা সালিশী মানে না। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয়। যার কারণে আনোয়ার বাদশা গংদের উপড় চড়াও হয়ে সাবু গাজী গংরা মারধর করে। এ সম্পর্কে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আনোয়ার বাদশা বাদী হয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। 



আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner