শীর্ষ খবর ২৫ আগস্ট ২০২৪

ছাত্র হত্যায় শেখ হাসিনা-কাদের-কামালসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

post

নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাভারে গুলি করে মিলিটারি ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ইয়ামিনকে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন নিহতের মামা আব্দুল¬াহ আল কাবির। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে সাভার থানাকে এজহার হিসাবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। এডভোকেট মনিরুজ্জামান মারুফ ও সাকিল আহমাদ মামলার আইনজীবী নিযুক্ত হন।নিহত শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।এ মামলার উলে¬খযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল¬াহ আল মামুন, ঢাকার পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) আসাদুজ্জামান সাভার সার্কেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) আব্দুল¬াহ হিল কাফি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) সাহিদুর রহমান, সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজামান সাভার থানা, সাভার থানার উপ-পরিদর্শক সুদীপ, হারুন অর রশিদ ও সাব্বির, সাভারের আন্দোলনে গুলি করে ভাইরাল হওয়ার নড়াইলের বাবুল শরিফ (নারী পুলিশ সদস্যের স্বামী), সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে উলে¬খ করা হয় যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মলনে আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এতে তিনি বাংলদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ দেন।আসামি ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনকারী ছাত্রদের নির্মূল করার জন্য ছাত্রলীগ যথেষ্ট।এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই দুপুর দেড়টায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সম্মিলিতভাবে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে। তারা শাইখ আসহাবুুল ইয়ামিনকে ধরে টেনে পুলিশের সাজোয়া যানের কাছে নিয়ে বুকের বামপাশে গুলি করে। এমতাবস্থায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যগণ ইয়ামিনকে টেনে পুলিশের সাজোয়া যানের উপরে ফেলে রেখে আন্দোলনরত ছাত্র জনতাকে ভীতি প্রর্দশনের জন্য গড়িটি চালাতে থাকে। পরে ইয়ামিনকে প্রায় মৃত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেয় এবং সাজোয়া যানের ভিতর থেকে একজন পুলিশ সদস্য বের হয়ে তার পায়ে পুনরায় গুলির র্নিদেশ দেয়। ওই পুলিশ সদস্য ইয়ামিনকে মৃত ভেবে গুলি না করে রাস্তার উপরের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে নিয়ে রোড ডিভাইডারের পশে ফেলে দেয়। পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ শাইখ ইয়ামিনকে ধরাধরি করে উঁচু রোড ডিভাইডারের একপাশ হতে আরেক পাশ ছুড়ে ফেলে। তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner