শীর্ষ খবর ১৮ আগস্ট ২০২৪

আদালত থেকে সরানো হচ্ছে লোহার খাঁচা

post

নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ ঢাকার আদালতের বিভিন্ন এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সব আদালতের খাঁচা সরিয়ে ফেলা হবে। গণপূর্ত বিভাগের লোকজন লোহার খাঁচা সরানোর কাজটি করছেন বলে জানান আদালতের কর্মকর্তারা।কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম), ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাসে থাকা লোহার খাঁচা সরানো হচ্ছে বলে জানান আদালত সংশ্লিষ্টরা।আদালত সহায়ক কর্মকর্তাগণ জানান, উচ্চপর্যায় থেকে লোহার খাঁচা সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে ঢাকার আদালতের কয়েকটি কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা সরানো হয়।

উল্লেখ্য,ঢাকার আদালতের লোহার খাঁচা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আনা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে তাঁকে লোহার খাঁচায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।এ নিয়ে গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের বলেন, অনেকক্ষণ খাঁচার (আসামির কাঠগড়া) মধ্যে ছিলাম। আমি যত দূর জানি, যত দিন আসামি অপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত না হচ্ছে ততোদিন তিনি নিরপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবেন।তিনি আরও বলেন, একজন নিরপরাধ নাগরিককে শুনানির সময় লোহার খাঁচায় (আসামির কাঠগড়া) দাঁড়িয়ে থাকতে হবে এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। এটা গর্হিত কাজ। এটা কারও ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। একটা সভ্য দেশে কেন একজন নাগরিককে শুনানির সময় পশুর মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হবে? যেখানে তিনি তখনো দোষী সাব্যস্ত হননি।এদিকে, দেশের অধস্তন আদালত কক্ষে থাকা লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুলসহ আদেশ দেয়।রিটের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, সারাদেশে অধস্তন আদালত কক্ষে কতগুলো লোহার খাঁচা রয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner