শীর্ষ খবর ১৪ আগস্ট ২০২৪

সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হলে জাতির কাছে দায়ী থাকবো: আসিফ নজরুল

post

নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন,  ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যেসব হত্যাকা- ঘটেছে, তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ তিনি এসব কথা বলেন।আইন উপদেষ্টা বলেন, এসব ঘটনার তদন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকান্ডের ঘটনাগুলোর বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা হবে।তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একই সময়ে ঢাকায় হওয়া মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। আর বাকি মামলাগুলো ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।ড. আসিফ নজরুল বলেন, গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতোমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। আমরা নিজেরা, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন যে, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে কি না। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন আছে, সেটা পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সংশোধনী হয়েছে। সেই আইনে আমরা জুলাই গণহত্যা, আগস্টের প্রথম পাঁচদিনের গণহত্যাও বোঝাচ্ছি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য ইতোমধ্যে ছোটখাটো গবেষণা করেছি। আমরা দেখেছি, এই আইনের অধীনে হত্যাকা-ে জড়িত ব্যক্তি এবং যারা আদেশ দিয়েছেন, যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি ইনভেস্টিগেশন টিম এবং প্রসিকিউশন টিম আছে। এগুলোকে আমরা রিঅর্গানাইজড করার চেষ্টা করছি, আদালতটা একটু পরে করব। ইনভেস্টিগেশন আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ থেকে বারবার আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বিচারের সত্যিকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করবে। সেটার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।আইন উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। সহযোগিতা চাইবো।এছাড়া, আমাদের আরও উচ্চ পর্যায় থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা আছে, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আশা করছি, দ্রুত এটা শুরু করতে পারব।তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচার করব। হত্যাকা-ে জড়িত বিদায়ী সরকারের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো অপরাধের বিচার করার ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য আমাদের আছে। আমাদের দেশের ব্যাংক ও সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাবে, এটা তো আমার-আপনার টাকা। সাবেক সরকারের মন্ত্রীদের টাকা না। জনগণের টাকা যারা নিয়ে গেছেন, তাদের অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা ও বিচারের সম্মুখীন করার জন্য যতটুকু করা দরকার, অবশ্যই আমরা করব।আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনসহ যেসব নিবর্তনমূলক আইন আছে, সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। এসব আইন বাতিল অথবা সংশোধন করা হবে।ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তার পতনের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন,  ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যেসব হত্যাকা- ঘটেছে, তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আজ তিনি এসব কথা বলেন।আইন উপদেষ্টা বলেন, এসব ঘটনার তদন্ত জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকান্ডের ঘটনাগুলোর বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা হবে।তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একই সময়ে ঢাকায় হওয়া মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে। আর বাকি মামলাগুলো ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।ড. আসিফ নজরুল বলেন, গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতোমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। আমরা নিজেরা, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন যে, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে কি না। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন আছে, সেটা পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সংশোধনী হয়েছে। সেই আইনে আমরা জুলাই গণহত্যা, আগস্টের প্রথম পাঁচদিনের গণহত্যাও বোঝাচ্ছি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য ইতোমধ্যে ছোটখাটো গবেষণা করেছি। আমরা দেখেছি, এই আইনের অধীনে হত্যাকা-ে জড়িত ব্যক্তি এবং যারা আদেশ দিয়েছেন, যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।

আইন উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি ইনভেস্টিগেশন টিম এবং প্রসিকিউশন টিম আছে। এগুলোকে আমরা রিঅর্গানাইজড করার চেষ্টা করছি, আদালতটা একটু পরে করব। ইনভেস্টিগেশন আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ থেকে বারবার আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। বিচারের সত্যিকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করবে। সেটার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।আইন উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। সহযোগিতা চাইবো।এছাড়া, আমাদের আরও উচ্চ পর্যায় থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা আছে, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আশা করছি, দ্রুত এটা শুরু করতে পারব।তিনি বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচার করব। হত্যাকা-ে জড়িত বিদায়ী সরকারের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।অর্থপাচারের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো অপরাধের বিচার করার ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য আমাদের আছে। আমাদের দেশের ব্যাংক ও সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাবে, এটা তো আমার-আপনার টাকা। সাবেক সরকারের মন্ত্রীদের টাকা না। জনগণের টাকা যারা নিয়ে গেছেন, তাদের অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করা ও বিচারের সম্মুখীন করার জন্য যতটুকু করা দরকার, অবশ্যই আমরা করব।আইন উপদেষ্টা বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনসহ যেসব নিবর্তনমূলক আইন আছে, সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। এসব আইন বাতিল অথবা সংশোধন করা হবে।ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তার পতনের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner