দক্ষিণ গাজার রাফায় ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সাফাই গাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় কোন হামলা চালায়নি। ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছানোর কয়েক ঘন্টা পরেই তিনি এ কথা বলেন। শরনার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলায় ৪৫ বেসামরিক ফিলিস্তিনি পুড়ে মারা যাবার বিষয়ে জন কিরবি জানান, হামাসের বিস্ফোরণে আশেপাশে মজুত করা অস্ত্রের কারণে এ আগুন লেগেছে। এর আগে, রাফার কেন্দ্রস্থল আল-আওদা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক, সরকারি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দখল নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। স্থানীয়রা বলছে, আল-আওদা শহরে কাউকে চলাচল করতে দেখলেই গুলি চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।এই হামলা আন্তর্জাতিক নিন্দার ঝড় তুলেছে। ফিলিস্তিনিরা এবং অনেক আরব দেশ এই হামলাকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে। ইসরায়েল বলেছে, তারা ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ খতিয়ে দেখছে।হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনী দক্ষিণের রাফা শহরের একটি তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সেখানে রোববারক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে কয়েকটি তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতে ৪৫ জন নিহত হয়। ইসরায়েলের এই হামলার সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, তারা রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা এলাকায় হামলা চালিয়ে সিনিয়র দুই হামাস কর্মীকে হত্যা করেছে।জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেছেন, ‘গাজায় কোন নিরাপদ জায়গা নেই।’ এই ভয়াবহতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।মিসর বলেছে, প্রতিরক্ষাহীন বেসামরিক নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে হামলা চালানোর লক্ষ্য হলো গাজা উপত্যকায় মৃত্যু ও ধ্বংসের সুযোগ বিস্তৃত করে একে বসবাসের অনুপযোগী করে তোলা।জর্ডান ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বর্ণনা করেছে। সৌদি আরব অব্যাহত এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িফ এরদোয়ান খুনিদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।কাতার একে আর্ন্তজাতিক আইনের বিপদজনক লংঘন হিসেবে বর্ণনা করেছে।এদিকে মঙ্গলবার স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৪০টিরও বেশি সদস্য রাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে।