গ্রাম বাংলা ১৪ মে ২০২৪

পটুয়াখালী : রাঙ্গাবালীতে শিক্ষা সনদে বানান ভুল হওয়ায় বিপাকে শিক্ষার্থী

পটুয়াখালী গলাচিপার আরো খবর

post

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক শিক্ষার্থীর জে.এস.সি ও এস.এস.সি সনদে মায়ের নামের বানানে ভুল হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের লক্ষ্মী বেষ্টিন আদর্শ হাই স্কুলে (১৩১৩৫৩)। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হচ্ছেন লক্ষ্মী বেষ্টিন আদর্শ হাই স্কুল থেকে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পাস করা রুহুল হাওলাদার ও সাফিয়া বেগমের ছেলে মো. মাসুদ। এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মো. মাসুদ (১৭) জানান, আমি লক্ষ্মী বেষ্টিন আদর্শ হাই স্কুল থেকে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পাশ করে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হই। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ফরম পূরন করতে গিয়ে আমার মায়ের নামের বানানে ভুল দেখতে পাই। আমার মায়ের নাম সাফিয়া বেগম (ঝঐঅঋওঅ ইঊএটগ) কিন্তু আমার সনদে ভুলক্রমে আফিয়া বেগম (অঋওঅ ইঊএটগ) লিপিবদ্ধ হয়। এখন আমার মায়ের নামের বানান কলেজেও ভুল হলে বিপদের শেষ থাকবে না। এখন কীভাবে যে মায়ের নাম সংশোধন করব ভেবে পাচ্ছি না। আমার জে.এস.সি রোল নং- ৪৭৮২৫৮, রেজিঃ নং- ২০১৫২৫৫৩৭৪, পাসের সন- ২০২০ এবং এস.এস.সি রোল নং- ২২২৪০৮, রেজিঃ নং- ২০১৫২৫৫৩৭৪, পাসের সন- ২০২৩। এ বিষয়ে মো. মাসুদের বাবা রুহুল হাওলাদার বলেন, আমার ছেলের শিক্ষা সনদে তার মায়ের নামের বানান ভুল আছে। সেটা সংশোধনের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন ফল পাচ্ছি না। পরে একজন আইনজীবির পরামর্শ নিলে তিনি এ্যাফিডেভিট করার পরামর্শ দেন। তাই ভেবেছি এখন এ্যাফিডেভিট করব। তাও যদি আমার ছেলের সনদে তার মায়ের নাম সঠিক হয় তাহলেও ভাল। এ বিষয়ে মো. মাসুদের মা সাফিয়া বেগম জানান, আমরা গরিব মানুষ। সব জায়গায় আমার নাম সাফিয়া বেগম। জাতীয় পরিচয়পত্রেও আমার নাম সাফিয়া বেগম। কিন্তু আমার ছেলের সনদে আমার নামটাই ভুল হয়েছে। এখন কী করব ভেবে পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে আমার ছেলে কোন চাকুরীর আবেদন করলে তাও বাতিলে হয়ে যাবে। আমি আমার নাম সংশোধনের জন্য বোর্ড কর্মকর্তাদের প্রতি জোর অনুরোধ করছি।

গলাচিপায় মামলার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের রোষানলে শাহিন গাজী

পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রতিপক্ষরা মারধর, জোর পূর্বক জমি দখল ও গাছপালা কেটে নেয়ায় প্রতিপক্ষের হাত থেকে বাঁচাতে বাদী হয়ে মামলা করায় প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়েছেন শাহিন গাজী (৫২)। শাহিন গাজী হচ্ছেন ডাকুয়া ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামের গাজী বাড়ির আরমান আলী গাজীর ছেলে। মামলাসূত্রে ও শাহিন গাজী জানান, প্রতিপক্ষ জহিরুল ইসলাম, আলি আহম্মেদ শাকিল, মহসিন সিকদার, শাহরিয়া গাজী গং আমার ভোগ দখলীয় জমিতে ফলের বাগান করি। প্রতিপক্ষরা আমার ফলের বাগানের বিভিন্ন প্রজাতীর ফলের গাছ কেটে আমার জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষদের বাঁধা দিলে তারা আমাদেরকে মারধর করে গুরুতর জখম করে। আমার জমির মৌজা- ডাকুয়া, জে,এল নং- ৪৮, এসএ খতিয়ান নং- ২৫৩, আর.এস জে.এল নং- ৫৯, আর.এস দাগ নং-১৫৫ এর জমিটি ক্রয় করি। আমার ক্রয়কৃত জমিতে বিগত ৩ বৎসর পর্যন্ত ফলের গাছ লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। প্রতিপক্ষরা লোভের বশবর্তী হয়ে আমার প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করে। আমি উক্ত বিষয় নিয়ে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ব্যুরোকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রতিপক্ষ এতটাই শক্তিশালী ও দুর্ধর্ষ যে, তারা টাকা পয়সা দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করে নেয়। গায়ের জোরে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে চলে। আমার মামলার প্রতিবেদন টাকার বিনিময়ে ভুল রিপোর্ট বানিয়ে দেয়। আসামীরা উল্টো আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে আমাকে হয়রানি করে এবং দাবায় ধমকায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ^জিত রায় বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নাই। এটা আদালতে ফয়সালা হবে। 

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner