ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে গাজা উপত্যকায় এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ইরাক। রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এই ঘোষণা দিয়েছেন। এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।তিনি বলেন, গাজার বাসিন্দাদের জন্য ইরাক এক কোটি লিটার জ্বালানি পাঠাবে। গাজার আহত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ এবং তাদের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরাক।আন্তর্জাতি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানির অভাবে সেখানকার হাসপাতাল, পানি ব্যবস্থাপনা, বেকারি ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় ইরাকের এই ঘোষণায় খুশি ফিলিস্তিনিরা।এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতির লক্ষ্যে মিসরে আলোচনা শুরুর আগে দক্ষিণ গাজা থেকে আরও সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা দক্ষিণ গাজা থেকে আরও সৈন্য প্রত্যাহার করেছে।সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘিরে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে মিসরে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে ইসরায়েল এবং গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। এর মাঝেই দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা এসেছে।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রিজার্ভ সৈন্যদের পরিত্রাণ দিতে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে গাজায় সৈন্য কমাতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এছাড়া মানবিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মিত্র ওয়াশিংটনের ক্রমবর্ধমান চাপের মাঝে রয়েছে ইসরায়েল; বিশেষ করে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় সাত দাতব্য কর্মীর প্রাণহানির পর ইসরায়েলের ওপর ওয়াশিংটনের চাপ বাড়ছে।তবে সৈন্য প্রত্যাহারের কারণ বা কতসংখ্যক সৈন্যকে গাজা থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাননি সামরিক ওই মুখপাত্র। গাজার নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েল উভয়ই মিসরে প্রতিনিধিদল পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে।এই অবস্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল বিদেশি চাপের কাছে নত হবে না। আর হামাসের নেতা বাসেম নাইম বলেছেন, ‘‘ব্যর্থতা থেকে নিজেকে রক্ষায় এবং যুদ্ধ শেষে দায় এড়াতে এখনও অচলাবস্থা জারি রাখতে চান নেতানিয়াহু। মার্কিন চাপ পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতির জন্য তাকে বাধ্য করতে যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন এই হামাস নেতা।হামাস সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য গত ৭ অক্টোবরের পর দখলকৃত এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের অবাধ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।