নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন
সিলেট: সিলেটে ৫ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক শেখ মো. রাসেল হাসানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।বুধবার পৌনে চারটার দিকে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আলী আকবর রাজন।বুধবার ভোর ছয়টা থেকে পুরো জেলায় শুরু হয় এ ধর্মঘট। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।শ্রমিকরা জানান, সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দূর করা, রাজনৈতিক বিভিন্ন মামলায় শ্রমিকদের মুক্তি ও ২০২১ সালে নগরীর চৌহাট্টায় শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন তারা। আজকেই মধ্যে এ দাবি মেনে না নিলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুরো বিভাগজুড়ে ধর্মঘট করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।এর আগে মঙ্গলবার সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি ময়নুল ইসলাম জানান, সিলেটের সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে প্রতি মাসের ২০ থেকে ২২ তারিখ আসার পর গ্যাসের লিমিট শেষ হওয়ার কথা বলে বন্ধ রাখা হয়। এতে পরিবহনশ্রমিকেরা বিপাকে পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিবহনশ্রমিকদের যানবাহন নিয়ে রাস্তা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এর ফলে পরদিন কাজে যোগ দিতে পারছেন না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরপরও এর কোনো সুরাহা হয়নি।তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে সিলেট নগরের চৌহাট্টা স্ট্যান্ড নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। ওই ঘটনা আপস-মীমাংসার পরও মামলা চলমান। সেই মামলার সমাধান চান তারা। অন্য দাবির মধ্যে পরিবহনশ্রমিকদের রাজনৈতিক মামলায় বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেখা গেছে, যে শ্রমিক ঘটনাস্থলে ছিলেন না, তাকেও মামলার আসামি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর ওই শ্রমিককে জামিন দেয়া হচ্ছে না। এসব মামলায় গ্রেপ্তার শ্রমিকদের জামিন চাচ্ছেন তারা।দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে প্রতি মাসের ১৮-২০ দিন পর থেকেই ‘লিমিট’ শেষ হয়ে যায় সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর। ফরে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সিএনজিচালিত গাড়িগুলোর চালক। শুধু তাই নয়, সড়কের যানবাহন কম চলাচল করায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণরাও।