লন্ডন: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, যুক্তরাজ্য শাখার নতুন কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে। সোমবার পূর্ব লন্ডনের একটি হলে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সৈয়দ আনাস পাশাকে সভাপতি, মুনিরা পারভিন সাধারণ সম্পাদক ও এনামুল হককে কোষাধ্যক্ষ করে আগামী এক বছরের জন্য নতুন এই কার্যকরী কমিটির ঘোষণা দেন সংগঠনের তিন সম্মানিত উপদেষ্ঠা বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের দুই সংগঠক প্রবীন রাজনীতিক সুলতান শরীফ ও মাহমুদ এ রউফ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন সাংবাদিক আবু মুসা হাসান।
নতুন কমিটি ঘোষণার আগে বিগত কমিটির সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশার সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সাধার সভার প্রথম অধিবেশনে বিগত মেয়াদের সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন দুই সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভিন ও স্মৃতি আজাদ। আর্থিক রিপোর্ট উত্তাপন করেন কোষাধ্যক্ষ এনামুল হক। বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আনসার আহমেদ উল্লাহ, সহসভাপতি নিলুফা ইয়াসমীন, জামাল খান ও সহসাধারণ সম্পাদক জুয়েল রাজ।
২০২৪ সালের নব নির্বাচিত কমিটিতে সভাপতি – সৈয়দ আনাস পাশা, সহ সভাপতি – নিলুফা ইয়াসমিন, সহ সভাপতি- জামাল খান, সহ সভাপতি- স্মৃতি আজাদ, সাধারণ সম্পাদক- মুনিরা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- জুয়েল রাজ এবং কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হয় এনামুল হককে। সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য নতুন কমিটিকে দায়িত্ব দেন সংগঠনের তিন সসম্মানিত উপদেষ্ঠা।
সাধারণ সভায় বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিজয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নতুন সরকার সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি নির্মূলে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। সভার প্রস্তাবে নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী ও বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানানো হয় এবং যুক্তরাজ্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্ঠা শফিকুর রহমান চৌধুরীর প্রতিমন্ত্রীত্ব লাভে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
সভার অপর এক প্রস্তাবে ফিলিস্তিনে ইসরাইলী গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হয়। সভায় উপস্থিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে ইসরাইলী আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনি জনগনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোঁশ পরে বিশ্ব মোড়লরা দেশে দেশে মানবিকতার সবক দিলেও ইসরাইলী গণহত্যায় মুখে কলুপ দিয়ে নিরবতা পালন করেন। এই নিরবতা যে ইসরাইলের প্রতি তাদের সমর্থন, বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যে এটি বুঝতে পারে ফ্লিলিস্তিনের সমর্থনে বিশ্বব্যাপী বিশাল বিশাল গণসমাবেশ তাঁর প্রমান। সাধারণ সভার বক্তাদের মতে, ইসরাইলী গণহত্যায় নিরবতা পালনকারী বিশ্বের শক্তিধর রাষ্টগুলো এই গণহত্যার দায় এড়াতে পারেননা। এই অপরাধে ইসরাইলের সাথে তাঁদেরও একদিন ইতিহাসের কাটগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :