টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিল এবং পুলিশের যৌথ অভিযানে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ব্রিক লেন মার্কেট থেকে ৩৪টি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এনফোর্সমেন্ট অফিসার, মার্কেট কর্তৃপক্ষ এবং ট্রেডিং স্ট্যান্ডার্ড টিমের সমন্বয়ে চলমান মাল্টিএজেন্সি অভিযান ‘অপারেশন স্কোর্পি’ ব্রিক লেন মার্কেটের অবৈধ স্ট্রিট ট্রেডার অর্থাৎ লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনাকারীদের লক্ষ্য করে পরিচালনা করা হয়। এই অবৈধ ব্যবসায়িদের অনেকেই বাইকের মতো চুরি হওয়া জিনিস বিক্রি করে এবং লাইসেন্স ছাড়াই মার্কেটে পন্য বিক্রি করে থাকে।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আর্থিক সহায়তায় ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে বিশেষ এই অভিযানটি শুরু হয়েছিল। এই আর্থিক সহযোগিতার ফলে বারার রাস্তায় টহল দেয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা সম্ভব হয়।
ব্রিক লেইন মার্কেটটি প্রতি রবিবার বসে এবং বছরকাল ধরেই মার্কেট খোলার অর্ধেকেরও বেশি দিনে এ ধরনের অভিযান চালানো হয়।
অপারেশন স্কোরপি’র প্রথম বছরে, প্রধানত চুরি করা সম্পত্তি, চুরির জন্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং মাদকের অপব্যবহারের অপরাধ রুখতে পুলিশ মার্কেট এলাকায় ১৩০টি স্টপ এবং সার্চ পরিচালনা করে।
বছরের ব্যবধানে এই অভিযানে মার্কেট থেকে ৩৪টি সন্দেহজনক চুরি করা সাইকেল উদ্ধার করা হয়, চুরি এবং চুরি করার জন্য ব্যবহৃত সরঞ্জামগুলির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ, এবং ৬৪ জনকে অসামাজিক আচরণের জন্য সতর্কতা বা সংশ্লিষ্ট লোকদের মার্কেটে আসা নিষিদ্ধ করতে কমিউনিটি সেফটি নোটিশ জারি করা হয়।
এছাড়াও এই অভিযানের সময় চুরি, সাইকেল চুরি, চুরি করা মালামাল বেচাকেনা, চুরি করার জন্য সজ্জিত হওয়া, কারাগারে প্রত্যাবর্তন, ছুরি রাখা, হামলা, যৌন অপরাধ এবং আদালত সম্পর্কিত অপরাধের মতো অপরাধের জন্য ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কর্মকর্তারা রাস্তায় অবৈধভাবে ব্যবসা করার দায়ে একাধিক ব্যক্তিকে জরিমানাও করেন।
এনফোর্সমেন্ট এর পাশাপাশি, অপারেশন স্কোর্পির লক্ষ্য হচ্ছে বাসিন্দাদের নিরাপদ রাখতে সাহায্য করা।
বাইক মার্কিং ইভেন্টের সময় ৫০ টিরও বেশি লোকের বাইক অদৃশ্য পরিচয় কোড দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। বিশেষ এই অভিযানকালে শত শত বাসিন্দা, পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের অপরাধ প্রতিরোধ সংক্রান্ত নানা পরামর্শ দেওয়া হয়।
সার্জেন্ট আলভারো আরাসেনা-ফুয়েন্তেস বলেছেন, “আজ পর্যন্ত অপারেশনটি খুবই ইতিবাচক এবং ব্রিক লেন মার্কেটের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করেছে, যা এখন অনেকাংশেই অপরাধ এবং এন্টি-সোশ্যাল বিহেভিয়ার (এএসবি) মুক্ত। এই অপারেশনটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে অংশীদারিত্বে চলতে থাকবে এবং আশা করি সামনের বছরগুলোতে মার্কেটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করবে।”
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “এই অপারেশনের সাফল্য পুলিশ এবং কাউন্সিলের চমৎকার অংশীদারিত্বের কাজ। ব্রিক লেন মার্কেট হল পর্যটক এবং বাসিন্দাদের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান এবং তাই এটিকে সকলের জন্য যতটা সম্ভব নিরাপদে উপভোগ করার পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।”
