নিউজ ডেস্ক,টিভি নাইনটিন অনলাইন
স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের ঐতিহাসিক জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। সূচিতে থাকা আগামী বছর দলের বেশ কয়েকটি টেস্টে এই জয় দলের আত্মবিশ^াস আরও বেড়ে যাবে মনে করছেন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিন শেষে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাইজুলের বোলিং নৈপুন্যে ১১৩ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।টেস্ট জিততে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও আরও ২১৯ রান করতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু উইকেটের কন্ডিশন অবনতি হওয়ায় ম্যাচ জয় অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে কিউইদের।চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তাইজুল বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা। আমরা এখনও জিততে পারিনি তবে আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি একটি বড় দলকে হারবেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এটা দলের পরিবেশ বদলে দেয়। আগামী বছর আমরা বেশ কয়েকটি টেস্ট ম্যাচ খেলবো। এজন্য এই টেস্টে জয় আমাদের জন্য নহায়ক হবে।ওয়ানডে বিশ^কাপে চরম ব্যর্থতা পর বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন বিধ্বস্ত অবস্থায় আছে তখনই দল টেস্ট ম্যাচ জয়ের গন্ধ পাচ্ছে। এই টেস্ট সিরিজে মুশফিকুর রহিম ছাড়া, আর কোন সিনিয়র খেলোয়াড়রা খেলছেন না। সঙ্গত কারণেই তরুণ দলের জন্য এটি হবে বিশাল জয়।অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো শীর্ষ দলকে বাংলাদেশ যেভাবে হারিয়েছিলো, এবারের জয়টি সেরকম হবে না। কারন উইকেট ভালো আচরণ করছে। কিন্তু তাইজুলের স্পিন দক্ষতা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের উপর আধিপত্য বিস্তার আসল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।তাইজুল বলেন, ‘সকালেও উইকেট এতটা কঠিন বলে মনে হয়নি। আমাদের বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। শীর্ষ ব্যাটারদের দ্রুত হারানোয় তারা চাপে পড়েছে। আমি বলব না যে, উইকেট খুব খারাপ।’তিনি আরও বলেন, ‘এটি খারাপ উইকেট নয়। আমি মনে করি তাদের বোলাররা খুবই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে এবং ভাল লাইন-লেন্থে বোলিং করেছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে এবং এই উপমহাদেশে এত বেশি স্পিন আমাদের জন্য সবসময় অনেক চ্যালেঞ্জিং ও আমাদের শুধুমাত্র এটিই ঠিক রাখতে হবে যে, আমাদের একটি ভালো পরিকল্পনা আছে এবং বোলিংকে পরিচালনা করা যাবে।সেট ব্যাটারদের শিকারে পারদর্শী তাইজুল। এই টেস্টে বর্তমান সময়ের সেরা ব্যাটার কেন উইলিয়ামসনকে দু’বার আউট করে সেটি প্রমান করেছেন তিনি। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে তাইজুলকে ‘বোলিং নেতা’ বলে অভিহিত করেছিলেন স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।তাইজুল বলেন, ‘আমি নয় বছর ধরে খেলছি। আমি কোন সেটআপ ব্যাটারকে আউট করতে পারবো- সে আস্থা আমার ওপড় দলের ছিল।তিনি আরও বলেন, ‘সাকিব আল হাসান আমার সাথে থাকুক বা না থাকুক আমি সবসময় আমার পরিকল্পনায় অটুট থাকি। আমাদের অনেক স্পিনার আছে। পরিকল্পনা সবসময় একই। কেউ উইকেট নিবে কেউ রান আটকাবে । আমি রান ঠেকাতে পারলে হয়তো মিরাজ বা নাঈম উইকেট পেতেন। সেটা হোক বা না হোক, আমরা ভালো খেলছি কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’