জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় তাদের ধারনা দেওয়ার জন্য গত ১৩ নভেম্বর টাওয়ার হ্যামলেটস টাউন হলে একটি বিশেষ ‘আন্তঃবিশ্বাস সপ্তাহ’ সম্মেলনে ১০০ টিরও বেশি স্কুল শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলো।
ইন্টারফেইথ সপ্তাহের শুরুতে গ্লোবাল লার্নিং লন্ডন কর্তৃক আয়োজিত, ‘কমিউনিটিস অফ হোপ কনফারেন্স’ – এ এটাই দেখানোর লক্ষ্য ছিল যে কীভাবে বিশ্বাস সামাজিক পরিবর্তন আনতে এবং অন্যায়কে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মালবেরি স্কুল ফর গার্লস, ক্যানারি ওয়ার্ফ কলেজ, জর্জ গ্রিনস স্কুল, স্টেপনি অল সেন্টস এবং ওকল্যান্ডস স্কুল সহ বারার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধর্মের অতিথি বক্তাদের একটি প্যানেলে যোগ দিয়েছিল।
প্যানেলে, একজন মুসলিম মৌমাছি পালনকারী, একজন বৌদ্ধ নাট্যকার এবং কোয়েকার ধর্মের একজন প্রাক্তন দর্শনের লেকচারার অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাদের আলোচনা শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে উত্সাহিত করেছিল যে তারা কীভাবে সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারে এবং প্রভাব ফেলতে তাদের অনন্য দক্ষতা ব্যবহার করতে পারে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “জলবায়ু জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করা শুধুমাত্র একটি বৈশ্বিক সমস্যা নয় — এটি একটি স্থানীয় সমস্যাও বটে। আমরা আমাদের ঘরে, আমাদের রাস্তায় এবং আমাদের ভবনগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছি। আমরা একটি জলবায়ু ও প্রকৃতি জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছি এবং ২০২৫ সালের মধ্যে একটি কার্বন নিরপেক্ষ কাউন্সিল হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
টাওয়ার হ্যামলেটসের ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মাইয়ুম তালুকদার আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেছিলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করা একটি বিশাল সমস্যা এবং শুধুমাত্র একসাথে কাজ করলেই আমরা টেকসই পরিবর্তন আনতে পারি। আমি আশা করি আমাদের তরুণরা এগিয়ে যেতে এবং একটি সবুজ ও নিরাপদ পৃথিবী তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হবে।”
সম্মেলনে, তরুণরা পূর্ব লন্ডন ভিত্তিক ইরাকি শিল্পী আলা আলসারাজির নির্দেশনায় একটি শিল্পকর্ম তৈরি করে।
শিল্পকর্মটির একটি ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে, যা স্থানীয় ধর্মীয় স্থাপনা, কমিউনিটির স্থান এবং স্কুলগুলো পরিদর্শন করবে।
মালবেরি স্কুল ফর গার্লস থেকে অংশ নিয়েছিলেন নেদা হাইড। সম্মেলনে বক্তাদের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত নেদা বলেছেন, “আপনি যদি বিশ্বজুড়ে সম্প্রদায়ের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তারা কীভাবে বন্যা এবং দুর্ভিক্ষের শিকার হচ্ছে তা খুবই হতাশাজনক। তাদের আমাদের সাহায্য দরকার। আমাদের এই একমাত্র গ্রহকে ধ্বংস করা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের দেখাশোনা করতে হবে। আমি আমাদের পরিবেশ বাঁচাতে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে ১০০ ভাগ প্রস্তুত।”
জর্জ গ্রিন স্কুল থেকে অ্যাবিগেল ওয়েবস্টার যোগ করেছেন, “এখানে অনেক তরুণ—তরুণী যাদের একই লক্ষ্য রয়েছে তাদের সাথে থাকতে পেরে দারুণ লাগছে এবং আমি বিশ্বব্যাপী চিন্তা করতে এবং স্থানীয়ভাবে ভূমিকা রাখার জন্য আমার সমবয়সীদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ! একসাথে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি।”