রান্নার স্বাদ বাড়াতে গোটা সরিষা বা সরিষার বীজ আদি যুগ থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। সরিষার এসব পদ অনেকেরই ভীষণ পছন্দের। বিশেষ করে সরিষা দিয়ে ইলিশ মাছ, যেটাকে বলে সরিষা ইলিশ। নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। এরপর চিতই পিঠার সঙ্গে সরিষার বীজ ভর্তা, আহ।এছাড়া একসময় তো প্রতিটা বাড়িতে রান্নাই হতো সরিষার তেল দিয়ে। এখনো তেলটি ব্যবহার হয় প্রচুর পরিমাণে। এখন প্রশ্ন হলো, নিয়মিত সরিষার বীজ খাওয়ার ফলে কী কী হয়? কখনও খুঁজে দেখেছেন কি এই প্রশ্নের উত্তর।সরিষা বা খাঁটি সরিষার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরের ওপর। সেগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে রান্নায় সরিষা ব্যবহারের সময় এটিকে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে নিয়মিত সরিষা এবং সরিষার তেল খাওয়ার চমকে দেওয়া গুণের কথা জেনে নিই।
অকাল বার্ধক্য ঠেকায়
অকাল বার্ধক্য ঠেকাতে সরিষার বিভিন্ন উপাদানের জুড়ি নেই। ভিটামিন এ, সি এবং কে সমৃদ্ধ সরিষা ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে। বিশেষ করে যাদের ত্বকের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত সরিষা খেলে ভালো উপকার পেতে পারেন।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সরিষা বীজের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিটি ঋতুতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সরিষা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ত্বকের অবাঞ্ছিত ব্রণ তাড়াতেও সরিষা কাজে আসতে পারে। এর ফলে ত্বকের নানা সমস্যাই কমে যেতে পারে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে
মারণব্যাধি ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে সরিষার কিছু উপাদান। এতে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেটস এবং মাইরোসিনোজের মতো যৌগ, যা শরীরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে নিয়মিত সরিষার তেল বা সরিষার বীজের রান্না খেলে ক্যানসারে বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি পাওয়া যায়।
মাথাব্যথা কমায়
মাথাব্যথা উপশমে দারুণ কাজ করে সরিষা। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ সরিষা মাইগ্রেন বা মাথার তীব্র যন্ত্রণা দূর করতেও সাহায্য করে। সরিষা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রশমিত রাখে। শরীরের অন্যান্য অংশের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। যারা সাইনাস বা মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি মহৌষধ।
হজমে সাহায্য করে
হজমে সাহায্য করে সরিষার বেশ কিছু উপাদান। সরিষা পরিপাক ক্রিয়ার জন্যেও খুব ভালো। বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকলে সরিষা খুবই উপকারী হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে সহজলভ্য এই মশলা জাতীয় বীজটি।