নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমি ঠাকুরগাঁও থেকে বারবার মনোনীত হয়েছি। কখনও জিতেছি, কখনও হেরেছি, কিন্তু কখনও জনগণকে ছেড়ে যাইনি।” তিনি আরও বলেন, “এখন নতুন করে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন ভুলবশত হারিয়ে না যায়। দেশের মানুষ আর ফ্যাসিস্টদের দেখতে চায় না।মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি ও রুহিয়া থানা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাংগঠনিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এই নির্বাচনে মানুষের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করতে হবে।তিনি বলেন, “বিএনপি সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ছয় বছর কারাভোগ করেছেন, তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন, এখনও দেশে ফিরতে পারেননি। গুম, খুন, হামলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীরা।মির্জা ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ ভিন্ন মত দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, এই আন্দোলনের ফসল জাতীয় সংসদে পৌঁছতে হবে, আর সেখানেই সব দাবি-দাওয়ার সমাধান খুঁজতে হবে।সংস্কার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই দেশে রাজনৈতিক সংস্কারের সূচনা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। কঠিন সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। গণতন্ত্রের পরীক্ষায় আমাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। কারণ গণতন্ত্রই একমাত্র পথ, যা মানুষের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাতে পারে।সাংবিধানিক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে যে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য হয়েছে, তা নিয়েই আগামী ১৭ অক্টোবর দলগুলো একটি জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে। যেসব বিষয়ে মতভেদ রয়ে গেছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।গণভোট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “গণভোট নিয়ে বিএনপি মত দিয়েছে। আমাদের প্রস্তাব জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জনগণের কল্যাণে কাজ করুন। চটকদার সংবাদ নয়, সত্য ও গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশন করুন। একইভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি।তিনি বলেন, “বিএনপি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে। আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও জনগণনির্ভর নির্বাচন।
ঠাকুরগাঁওয়ে জিতেছি-হেরেছি, কিন্তু কখনও কাউকে ছেড়ে যাইনি: মির্জা ফখরুল
