নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ আর মাত্র কয়েকদিন, তার পরই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজাকে ঘিরে শেষ মুহুর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। পূজা শুরুর দুই থেকে তিন দিন আগে শেষ হবে প্রতিমার কাজ। আয়োজকরা বলছেন, শিল্পীদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় পূজার খরচও বেড়েছে। এদিকে পূজার উৎসব আনন্দঘন করতে আর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নারায়ণগঞ্জ জেলায় এবার ২২২টি মণ্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা। এর মাঝে ৪৯টি পূজা মণ্ডপ রয়েছে রূপগঞ্জে। এই মুহুর্তে পূজা মণ্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহুর্তের কাজ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরম মমতায় দেব-দেবীর অবয়ব গড়েছেন প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিমা শিল্পীরা জানান, এখন চলছে প্রথম পর্যায়ের সাদা রং এর কাজ। দুই দিনের মাধ্যেই ভক্তদের শ্রদ্ধা নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবেন দেবী দুর্গা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম খানিকটা বেশি। রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, পূজা উৎসবের আনন্দ নির্বিঘ্নে করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে বরিশাল জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পূজা উনুষ্ঠিত হবে আগৈলঝাড়া উপজেলায়। দিন-রাত মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী দুর্গা, গনেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত শিল্পীরা।প্রতিমা শিল্পীরা বলছেন, এখন সময় নেই একেবারেই। দিন-রাত কাজ চলছে, মাটির কাজ শেষে শুরু হবে রং ও তুলির কাজ। প্রতিটি মণ্ডপে আকার ভেদে তারা মজুরি নিচ্ছেন ২৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর আয়োজকরা বলছেন, গত বছরগুলোর তুলনায় এবার মজুরি বেশি হওয়ায় পূজার খরচও বেড়েছে দ্বিগুণ।এদিকে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক জানিয়েছেন, দুর্গা উৎসব নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি নিরাপত্তার পাশাপাশি সাদা পোষাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এ বছর আগৈলঝাড়ায় উপজেলায় ১৭৪টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত দুর্গা পূজা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহা ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবীর নবপত্র কল্পারম্ভ। দশমী বিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গাপূজা। এবার দেবী আসবেন গজে বা হাতিতে আর ফিরে যাবেন দোলায়।
ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি: এবছর পূজার মন্ডপ বেড়েছে
