নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
 
ঢাকাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। তৃতীয় স্থানে থাকা স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮১ ভোট। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আব্দুল কাদের পেয়েছেন ৬৬৮ এবং প্রতিরোধ পর্ষদের শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি পেয়েছেন ২৬ ভোট।জিএস পদে জয় পেয়েছেন শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দীন খান। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৫০১ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৫৪ ভোট।তবে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান ও স্বতন্ত্র জোটের উমামা ফাতেমা। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আব্দুল কাদেরও নির্বাচনকে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।বিজয়ী সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। ভোটগ্রহণ চলাকালে তিনি ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন।এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। জগন্নাথ হল ছাড়া সবগুলো হলে বড় ব্যবধানে জয় পান সাদিক কায়েম। ওই হলে তিনি পান মাত্র ১০ ভোট, যেখানে আবিদুল ইসলাম খান পান ১ হাজার ২৭৬ ভোট।এবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রের ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচ ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ১৩ ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন।ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদের ২৩৪টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আরও ১ হাজার ৩৫ জন। সব মিলিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দিতে হয়েছে মোট ৪১টি পদের জন্য।