নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ফিলিস্তিন: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই আরও ৫১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৭ জন গাজা শহরে এবং মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ২৪ জন প্রাণ হারান। অন্যদিকে অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী গত ৬ আগস্ট গাজা শহরে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে জেতুন ও সাবরা মহল্লায় এক হাজারেরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। সংস্থাটির দাবি, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে।রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে সিভিল ডিফেন্স জানায়, টানা গোলাবর্ষণ ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে অধিকাংশ এলাকায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অসংখ্য মানুষের নিখোঁজের খবর পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু জরুরি কর্মীরা সাড়া দিতে পারছেন না। এদিকে হাসপাতালে প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়েছে, আহতদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।সংস্থাটি আরও বলছে, ইসরায়েলের চলমান অভিযান আরও গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। ময়দানে থাকা দলগুলোর সক্ষমতা এত সীমিত যে তারা এ ধরনের ভয়াবহ হামলার মোকাবিলা করতে পারছে না। গাজার কোথাও নিরাপদ এলাকা নেই—উত্তর থেকে দক্ষিণ, সবখানেই বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে ঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি ত্রাণ শিবির পর্যন্ত বোমা বর্ষণ চলছে।গাজা শহর পুরোপুরি দখলে নিতে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক নিয়ে সাবরা এলাকায় প্রবেশ করেছে। এতে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের তথ্য বহু মানুষের আশঙ্কা সত্যি করছে যে, ইসরায়েল পুরো গাজা শহর ধ্বংস করতে চাইছে—যেমনটি তারা রাফাহ শহরে করেছিল। অধিকারকর্মীরা বলছেন, এর লক্ষ্য হতে পারে গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে উৎখাত করা।যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৯ জনে, এর মধ্যে ১১৫ জন শিশু। ইসরায়েলি সেনারা নিয়মিত গুলি চালাচ্ছে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের দিকে। মূলত ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত বিতর্কিত জিএইচএফ কেন্দ্রগুলো থেকে সামান্য সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করার সময়ও ইসরায়েলের হামলার মুখে পড়ছেন তারা।
গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে ২৪ জন নিহত, একদিনে মোট প্রাণহানি ৫১
