গ্রাম বাংলা ২০ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার

post

নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
 
গোপালগঞ্জ:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জারি করা কারফিউ ও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসন থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কারুজ্জামান এ আদেশ দেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রোববার রাত ৮টার পর গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা ও কারফিউ বলবৎ থাকবে না। সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনাপূর্বক পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া হবে। এ ছাড়া অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কারুজ্জামান জানান, ‘গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ১৪৪ ধারা ও কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।এর আগে, গত ১৬ জুলাই বুধবার এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দিনভর হামলা-সহিংসতায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে ওইদিন রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।এরপর দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত কারফিউর সময়সীমা বাড়ানো হয়। মাঝে তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউর সময় বাড়ানো হয়। শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়। আবার শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। পরবর্তীতে রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক।গত বুধবারের সংঘর্ষে ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও কাশিয়ানী থানায় পুলিশের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটনায় পৃথক চারটি মামালা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। মামলায় প্রায় তিন হাজারের অধিক লোককে আসামি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৩২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এদিকে,বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত চার জন নিহতের ঘটনায় চারটি পৃথক মামলা করেছে পুলিশ। প্রতি মামলায় দেড় হাজার করে ৬০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner