নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ আজ ২৬ জুন আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস। ১৯৮৭ সালের এই দিনে জাতিসংঘের নির্যাতন এবং অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ প্রতিরোধ বিষয়ক কনভেনশন (ইউএনসিএটি) আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ ও রাষ্ট্রীয় দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উপলক্ষ হিসেবে দিবসটি পালন করা হয়।জানা গেছে, বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে ইউএনসিএটিতে স্বাক্ষর করলেও গত দেড় দশকে দেশে নির্যাতন ও গুমের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে ঘটেছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা আটক, গুম,বেআইনি জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটেছে।স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও বেআইনি আটকের শত শত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার কিংবা শাস্তির নজির খুবই কম। ফলে একটি ‘দায়মুক্তির সংস্কৃতি’ গড়ে উঠেছে এবং এসব ঘটনার অধিকাংশেরই কোনো তদন্ত হয়নি। ভুক্তভোগীদের পরিবারগুলো এখনও প্রিয়জনের অপেক্ষায়।বাংলাদেশসহ সারাবিশে^ নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে নির্যাতনের ভয়ংকর রূপ দেখা যায়। এর ফলে মানুষের অধিকার দিন দিন কমছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয় ১ হাজার ৩৫২ জন। তাদের মধ্যে নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে গত মার্চে। এই সময় ৪৪২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়। গত এপ্রিল ও মে মাসে যথাক্রমে ৩৩২ ও ২৮৭ জন নারী ও কন্যাশিশুকে নির্যাতন করা হয়।পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ চার মাসে দেশে নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা ছিল ৫ হাজার ৭৯৫টি। এ বছরের প্রথম চার মাসে তা বেড়ে হয় ৭ হাজার ১৩টি। অর্থাৎ প্রথম চার মাসে নির্যাতনের সংখ্যা ১ হাজার ২১৮টি বেশি।জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে কনভেনশন গ্রহণ করে। সেটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জুন কার্যকর হয়।১৯৯৮ সালের মে পর্যন্ত বিশ্বের ১০৫টি দেশ এই কনভেনশনে স্বাক্ষর করে। স্বাক্ষর করা প্রতিটি রাষ্ট্র তাদের জাতীয় আইনে নির্যাতনকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে সম্মত হয়।
আজ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস
