বাংলাদেশ ০২ জুন ২০২৫

বাজেটে আ. লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা রয়ে গেছে : খসরু

post

নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ
প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট আকারে কিছুটা ছোট হলেও, গুণগত দিক থেকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান, আগামী ৪ জুন সকাল ১১টায় বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। আজকের মন্তব্য তার ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া।সোমবার (২ জুন) বনানীর একটি হোটেলে বাজেট প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, এটা যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট, তাই আমার প্রত্যাশা খুব সীমিত। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের একটা সীমাবদ্ধতা আছে, সময়ের ব্যাপার।সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বাজেটের আকার, যেটা বিগত সরকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত, আপনি যখন রাজস্ব আয়ের পুরোটা পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে ব্যয় করে ফেলবেন, তখন তার অর্থ দাঁড়ায় উন্নয়ন বাজেটের পুরোটা দেশের বাইরে থেকে ধার করে চালাচ্ছেন। সরকার যখন দেশের বাইরে থেকে ঋণ নেয়, তখন দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে, মানুষকে সেটা দিতে হয়। এটার সুদ বেড়ে যাওয়ার কারণে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। আর দেশের ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে বিনিয়োগ কমে যায়। তখন কর্মসংস্থান কমে যায়।রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারের একটা সম্পৃক্ততা থাকা উচিত ছিল উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন, আমি মনে করি সেটা হয়নি। রাজস্ব আয় যেটা হবে তা পুরোটা পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে চলে যাবে। ফলে, উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের জন্য পুরোটা দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে ঋণ নিতে হবে। এতে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তিনি আরও বলেন, আগে যে বাজেট হয়েছে, সেখান থেকে এবার টাকার অঙ্কটা ছোট হয়েছে। কিন্তু মৌলিক পরিবর্তন আগের জায়গায় রয়ে গেছে। অনেকটা আগের সরকারের ধারাবাহিকতা থেকে বের হতে পারেনি। আসলে রাজস্ব আয়কে ভিত্তি করে বাজেট করা উচিত। তাহলে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার সরবরাহ থাকত। বিনিয়োগ থাকত। সুদের হার কমে আসত। বিদেশি ঋণ কমেআসত। কিন্তু সেই জায়গা থেকে আমরা সরে আসতে পারিনি। সুতরাং আমি মনে করি মৌলিক জায়গার ভুলটা রয়ে গেছে।সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের বিদেশি ঋণ ৩.৮ বিলিয়নের মতো। সেটাকে এবং রাজস্ব আয়কে মাথায় রাখতে হবে। বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল। গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে তেমন পরিবর্তন হয়নি। শুধুমাত্র সংখ্যা সামান্য ছোট হয়েছে। মৌলিক কাঠামো আগের সরকারের মতো রয়ে গেছে। এটা আগামী দিনের সরকারের জন্য সহজ কিছু হবে না।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner