গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল, খাদ্যদ্রব্যসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা পন্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির ফলে অত্যন্ত কঠিন সময় পার করা বারার স্বাস্থ্য সচেতন বাসিন্দাদের জন্য একটি সুখবর নিয়ে এসেছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, বারারা বাসিন্দাদের মানসিক ও শারিরীক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে কাউন্সিলের সব ওয়েলেবিং লেইজার সেন্টারে সব ধরনের ফি এবং মেম্বারশীপ ফি স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। শুধুমাত্র টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বাসিন্দারা বারার ভেতরের লেইজার সেন্টারগুলোতে এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
যদিও এরিমধ্যে ১৬ বছর বা তদোর্ধ বয়সী কিশোরী ও মহিলা এবং ৫৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে তার বেশি বয়সী পুরুষরা বারার লেইজার সেন্টারগুলোতে বিনামূল্যে বা কোনো ফি ছাড়াই সাঁতার বা সুইমিংয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ফি মুক্ত লেইজার সেন্টার ঘোষণাটি।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী এবং যারা দীর্ঘ মেয়াদী স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন, তারাসহ বারার সর্বস্থরের বাসিন্দা কোনো ধরনের ফি ছাড়া তাদের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বারার লেইজার সেন্টারগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
সুবিধাগুলো হল, ১৬ বছর বয়স থেকে শুরু করে কিশোরী ও নারী এবং ৫৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে পুরুষদের জন্য ফ্রি সুইমিং সুবিধা। একটি মাত্র মেম্বারশীপের মাধ্যমে বারার ৬টি লেইসার সেন্টার ব্যবহারের সুযোগ। বাসিন্দাদের ব্যবহারের সুবিধার্থে আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তির ফিটনেস সরঞ্জাম বাড়ানো এবং ফিটনেস ক্লাশ বৃদ্ধিসহ এবং ওয়েলবিং প্রোগ্রামসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, টাওয়ার হ্যামলেটসের ঐতিহ্যবাহি ইয়র্ক হলের স্পা-এর সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও মাইলএন্ডের ফুটবল পিচের সংস্কার করা হচ্ছে। পপলার বাথস এবং ইয়র্ক হলে ওমেন্স ওনলী জিম অর্থাৎ শুধুমাত্র নারীদের জন্যে জিম সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। মাইলএন্ড, টিলার এবং পপলার বাথসে বাড়ানো হচ্ছে ক্র্যাচ সুবিধা। অর্থাভাবে যেখানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য লেইজার সেন্টার বন্ধ হচ্ছে বা বন্ধ হবার হুমকির মধ্যে রয়েছে সেখানে বারারা বাসিন্দাদের মানসিক ও শারিরীক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে টাওয়ার হ্যামলেটসের লেইসার সেন্টারগুলোতে সুবিধা বৃদ্ধি করতে ব্যতিক্রমী এসব উদ্যোগ নিয়েছে কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কাউন্সিলের কালচার এবং রিক্রিয়েশন লিড মেম্বার, কাউন্সিলর মোহাম্মদ কামরুল হোসেইন বলেছেন, “বারার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। এ কারণে বারার লেইজার সেন্টারগুলোতে বিনিয়োগ করে বাসিন্দাদের জন্য সুবিধা বাড়াচ্ছি আমরা। এর মাধ্যমে শুধু যে বাসিন্দাদের মানুসিক ও শারিরীক স্বাস্থের সুরক্ষা সুবিধা বাড়বে তাই নয়, লেইজার সেন্টারের ফ্রি সুবিধা ভোগ করতে আসা বাসিন্দাদের মধ্যে একে অন্যর একটা যোগসূত্র হবে এর মাধ্যমে। একে অন্যের সাথে সম্পর্ক তৈরী হওয়া একটা বাড়তি মানসিক গুণ বলা যায়। স্বাস্থ্যগত উন্নতির পাশাপাশি একের অন্যের সাথে যোগাযোগ তৈরীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত এবং শক্তিশালী টাওয়ার হ্যামলেটস তৈরী হবে।”
তিনি আরো বলেছেন, “লেইজার সার্ভিসে বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত বৈষম্য কমিয়ে বারার সব বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রশাসনের অন্যতম একটি পরিবকল্পনা। এ কারণে লেইজার সেন্টারগুলোকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে বারার দীর্ঘ মেয়াদে অসুস্থ, ডিজেবলসহ সব বয়সের শিশু, নারী, পুরুষ খুব সহজে সেখানে প্রবেশ করতে পারেন।”
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের লেইজার সেন্টারের মেম্বারশীপসহ অন্যান্য প্রোগ্রাম এবং সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানতে দয়া করে ভিজিট করুন www.be-well.org.uk