নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশের হাত থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান বাবুকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।রোববার পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. সুজায়েত হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বাহাদিয়া গ্রামে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্ত নুরুজ্জামান বাবু উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ সমর্থীত নৌকা প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার কামারকোনা গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে।গত বছরের ২০ জুলাই ও ৪ আগস্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় করা দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবু। একটি মামলার বাদী বিএনপি কর্মী মো. নজরুল ইসলাম। তিনি গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮০-৯০ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় নুরুজ্জামান বাবু ১৭ নম্বর আসামি।অপর মামলার বাদী উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি মো. মোস্তফা। তিনি গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০-৬০ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় নুরুজ্জামান বাবু ১০ নম্বর আসামি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে পাকুন্দিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. সুজায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করতে উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ অভিযানে চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার সময় তার চিৎকারে আওয়ামী লীগের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. শাখাওয়াৎ হোসেনসহ একদল পুলিশ গিয়ে ছিনিয়ে নেয়া আসামি নুরুজ্জামান বাবুসহ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তবে এ অভিযানে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।