বাংলাদেশ ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

এজলাস পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা, থমকে গেল বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ

post

নিউজ ডেস্ক

টিভি নাইনটিন অনলাইন

ঢাকাঃ রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ কারণে থমকে গেল বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার কাজ। বিস্ফোরক মামলার পরবর্তী তারিখ ও স্থান দ্রুত সময়ের মধ্যে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মামলায় বিজিবির পক্ষের প্রধান কৌঁসুলি। এদিকে, মাদ্রাসা মাঠে বিচার কার্য না করার দাবিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিচারক ফিরে যাওয়ায় অবরোধ তুলে নেয়া হলেও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন মাদ্রাসার মাঠে আদালত বসতে দেয়া হবে না। এই এজলাসেই হওয়ার কথাছিলো বিডিআর ট্রাজিডির ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার আসামিদের জামিন শুনানি। কিন্তু মধ্যরাতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে সব। বকশিবাজারে আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী আদালত সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাস্তা অবরোধ করে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল, পায়ে হেঁটে চলাচল করেন ওই এলাকার মানুষ। শিক্ষার্থীদের সাথে কয়েক দফা আলোচনা করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। শিক্ষার্থীদের দাবি, ৩ মাসের কথা বলে ২০১২ সাল থেকে মাঠে অস্থায়ী আদালত বসানোয় একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।এমন পরিস্থিতির মধ্যে সকাল ১১টার দিকে অস্থায়ী আদালত পরিদর্শনে আসেন মামলা পরিচালনাকারী বিচারক, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আসামীপক্ষের আইনজীবী। অস্থায়ী আদালতের ভেতরে পরিদর্শন শেষে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে বিচারক আদালত পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত জানান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন।অস্থায়ী আদালতের বিচার কাজ নিয়ে রাষ্ট্রের টালবাহানার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী পারভেজ হোসেন। তিনি বলেন, এভাবে বিচার বিঘ্নিত হওয়ায়, ন্যায়বিচার বঞ্চিত হচ্ছেন বিডিআর সদস্যরা। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা না করায় সড়ক অবরোধ তুলে নেয়া শিক্ষার্থীরা। স্বাভাবিক হয় ওই এলাকার যান চলাচল।উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

আরো পড়ুন!

Sidebar Banner
Sidebar Banner