মেহেদী হাসান, খুলনা প্রতিনিধিঃ পৌষের কনকনে শীতের মধ্যেও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় খুলনায় গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও খুলনাজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
শনিবার সকাল থেকে সুর্য না উঠায় গোটা জনপদজুড়ে শীতের তীব্রতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। গ্রামাঞ্চলের জনজীবনও হারিয়েছে তার স্বাভাবিক গতি। তবে খেটে খাওয়া মানুষেরা কনকনে ঠান্ডা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটেছেন কর্ম ও রুটি-রুজির তাগিদে। এদিকে খুলনা মহানগরীর যানজট নিরাসনে ট্রাফিক পুলিশরা ছাতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত ও ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও হকাররা কাজে বের হলেও রাস্তায় মানুষ কম থাকায় তারা আয়ের সংকটে পড়েছেন।
নগরীর মাহিন্দ্র চালকেরা বলেন,পেটের টানে শীত উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছি। তবে যাত্রী নেই বললেই চলে। খুব বেশি প্রয়োজন ছারা কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
নগরীর বিভিন্ন মোড়ের চায়ের দোকানে রিকশাচালকেরা বসে চা অলস সময় পার করছেন। তারা বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ নেই বললেই চলে। ঠান্ডা কম থাকলেও বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। রিকশা চালাতে গিয়ে হাত কালা হয়ে যাচ্ছে, এ কারণে দোকানে দাড়ায়ে একটু চা খায়ে গা গরম করে নিচ্ছি।’
আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে এবং শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আজ খুলনায় বেলা ১২টা পর্যন্ত পয়েন্ট ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও ২ দিন এমন আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ঠান্ডাজনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, হাঁচি-কাশি, সর্দি-জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। রোগে আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
শিশুদের যাতে ঠান্ডা না লাগে সেজন্য সর্বদা গরম পোশাক পরিধান করানোর পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত যে কোনো রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।