আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভ্যন্তরে হামলা, ভাঙচুর ও দেশের পতাকা অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদে ১০ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে লণ্ডনে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে দিল্লির শাসকদের কাছে ১০ দফা দাবি পেশ করেছে ‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন'। সমাবেশে সভাপতিত্বকারী ‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন' এর আহবায়ক হাসনাত আরিয়ান খান সংগঠনের পক্ষে তাদের দাবি ও ভিশন তুলে ধরেন। সমাবেশ শেষে তিনি ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে ১০ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শেখ মুহিতুর রহমান বাবলু, সাংবাদিক হাসান জাবেদ, সাংবাদিক মাহবুব আলী খানশূর, জুবের আহমেদ, মোহাম্মদ ফারুক ও হুসাইন আহমেদ সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
‘অখন্ড বাংলাদেশ আন্দোলন' এর ১০ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- ১। বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান আগ্রাসন বন্ধ করা। ২। বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া বন্ধ করা। ৩। বাংলাদেশি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্খার প্রতি সমর্থন ও সম্মান প্রদর্শন করা। ৪। আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভ্যন্তরে হামলা, ভাঙচুর এবং দেশের পতাকার অবমাননার জন্য বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা। ৫। সেখানে বসবাসরত বাঙালি ও বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ৬। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা ও সকল সীমান্ত হত্যার বিচার করা। ৭। স্বাধীনতার প্রশ্নে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, আন্দামান, মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, সিকিম, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা, ছত্তিসগড়, পান্জাব ও কাশ্মীরে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ গণভোটের আয়োজন করা। ৮। দখলে রাখা নবাবী বাংলার অংশগুলো সসন্মানে বাংলাদেশকে ফেরত দেওয়া। ৯। কোন ব্যক্তির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে কোন দল, গোষ্ঠী বা তার জাতীয়তাকে সম্পৃক্ত করা থেকে বিরত থাকা। ১০। ১৩৫৩ সালের নভেম্বরে বিহারের কুশি নদীর তীরে দুই দেশের বর্ডারে দিল্লির সুলতান ফিরুজ শাহ তুঘলকের সাথে বাংলার সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ‘র যে শান্তি চুক্তি হয়েছিলো, সেই চুক্তির বাস্তবায়ন করা। উল্লেখ্য আগামী ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে ২১ বছর ও বাংলাদেশে ২৬ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে সংগঠনটি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :