নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
ঢাকাঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূক।আগামীকাল মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ একথা বলেন।বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিক অধিকারহারা নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করাসহ সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছিল।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী শাসনামলে শুধুমাত্র বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোরই কোনো নিরাপত্তা ছিল না। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে গত ১৬-১৭ বছরে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছিল।তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপোষহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সকল মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন মুক্ত।মানবাধিকার দিবসের এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’ সামনে রেখে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।একই সঙ্গে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।যুগে যুগে তরুণরাই সমাজের অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, আজও মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই মানবাধিকারের পক্ষে তরুণদেরকে সাহসের সাথে এগিয়ে আসতে হবে।তিনি বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় মানুষের বাক ও ব্যক্তিস্বাধীনতাসহ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় সংকল্প।’