নিউজ ডেস্ক
টিভি নাইনটিন অনলাইন
কলকাতা: বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কলকাতার রাজপথ ছিল উত্তাল। সেই উত্তাল পরিস্থিতিতে আহত হলেন কলকাতা পুলিশের এক সদস্য, জ্বালানো হলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কুশপুতুল। পোড়ানো হলো বাংলাদেশের পতাকা।এদিকে চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বুধবার বিজেপি নেতা শুভেন্দুর নেতৃত্বে সাতজন বিধায়ক দেখা করেন কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তবে তা ছিল শৃঙ্খলভাবে।গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলার দক্ষিণ বঙ্গে ১৭টি সংগঠন একজোট হয়েছিল বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ ব্যানারে। তার মধ্যে যেমন ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস ইত্যাদির মত সংগঠন। আর তাতেই যেনো সব কিছু ছাপিয়ে গেল। স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশন জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে হাজারের ওপরে সনাতনী মানুষ অংশ নেন। এরপর শিয়ালদহ থেকে মিছিল এগোতে থাকে বেগবাগান চত্বরে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের দিকে। পথে ছিল অসংখ্য পুলিশ।তবে কলকাতা পুলিশ আগাম অশান্তির খবর পেয়ে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এলাকার ৫০০ গজ দূর থেকে সমস্ত যানবাহন আটকে দেয়। তাদের বাধা দিতে মোট নয়টি অস্থায়ী ব্যারিকেড গড়ে তোলে সড়কের ওপর। এরপর বেলা সাড়ে ৪টার দিকে বিশাল জমায়েত হামলে পড়ে ব্যারিকেডের দিকে। তখন প্রথম ব্যারিকেড সামাল দিচ্ছিলেন কয়েকজন পুলিশ। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর কাছে অসহায় হয়ে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। তাও শক্ত করে ব্যারিকেড সামাল দিতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।ভিড়ের চাপে মুহূর্তেই ভেঙে যায় ব্যারিকেড। সেই ভিড়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় এক পুলিশ সদস্যকে। আহত হন সেই পুলিশ সদস্য। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। পরে পাঁচজনকে মিশনের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ততক্ষণে ওই ভিড়ের মধ্যেই জ্বালানো হয় কুশপুতুল। সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। তারপরই নামানো হয় আরও বড় পুলিশ বাহিনী। সন্ধ্যা ৬টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কলকাতা পুলিশ।জানা যাচ্ছে, আগামী ২ ডিসেম্বর বিপুল কর্মী সমর্থকের জমায়েত হবে পেট্রাপোলে। ফলে সময় যত যাচ্ছে চিন্ময় ইস্যুকে সামনে রেখে আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি করছে বিজেপি।